আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের শিনজিয়াংজুড়ে তিন বছরে ক্ষ'তিগ্র'স্থ বা ধ্বং'স করা হয়েছে হাজারো মসজিদ। চীনের সাংস্কৃতিক বি'প্লবের (১৯৬৬-১৯৭৭) পর এমন নজির আর দেখা যায়নি। মুসলিম সংখ্যাল'ঘুদের ওপর চীনা নি'র্যা'তন বিষয়ক এক প্র'তিবে'দনে এমন ত'থ্য তুলে ধ'রেছে অস্ট্রেলিয় থিংকট্যাংক অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিশি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই)।
শিনজিয়াংয়ে চীনের ব'ন্দিশিবির এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বং'স বিষয়ক এক এএসপিআই'র একটি বিস্তৃত প্রকল্পের মসজিদ ধ্বং'সের ত'থ্য ওঠে এসেছে। আওতায় স্যাটেলাইটে তোলা ছবি, মাঠ পর্যায়ে অনুস'ন্ধান থেকে এসব ত'থ্য বিশ্লে'ষণ করা হয়েছে। এএসপিআই জানায়, চীনা সরকারের দাবি শিনজিয়াংয়ে ২৪ হাজারের বেশি মসজিদ রয়েছে ও তারা সেগুলো র'ক্ষা করতে প্রতি'জ্ঞাব'দ্ধ।
তবে এএসপিআই'র অনুস'ন্ধানে দেখা গেছে, অঞ্চলটিতে বিদ্যমান মসজিদের সংখ্যা ১৫ হাজারেরও কম। এগুলোর অর্ধেকও আবার ক্ষ'তিগ্র'স্থ। থিংকট্যাংকটি তাদের প্রতিবে'দনে বলেছে, চীনের সাংস্কৃতিক বি'প্লবের পর এই প্রথম সেখানে মসজিদের সংখ্যা এত কমে এসেছে। সাংস্কৃতিক বি'প্লবের সময় এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজারেরও কম।
এএসপিআই জানায়, শিনজিয়াংয়ের দুই-তৃতীয়াংশ মসজিদই ধ্বং'স বা ক্ষ'তির শি'কার হয়েছে। অঞ্চলটির সাং'স্কৃ'ক্তি স্থাপনাগুলোর ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা গেছে। থিংকট্যাংকটি জানায়, ২০১৭ সাল থেকে আনুমানিক ৩০ শতাংশ মসজিদ গুঁ'ড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো ৩০ শতাংশ মসজিদ অন্যান্যভাবে ক্ষ'তির শি'কার হয়েছে। কিছু মসজিদের মিনার বা ডোম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মসজিদের জায়গাই এখন ফাঁকা জমি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিছু মসজিদের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা, গাড়ি পার্কের জায়গা অথবা ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষি জমি হিসেবে। কিছু মসজিদ একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কয়েকটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ ছোট আকারে। রাজধানী উরুমকির মতো যেসব এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বেশি, সেগুলোয় মসজিদ ধ্বং'সের সরকারি রেকর্ড কম। তবে এই এলাকাগুলোয় সফর করে আসারা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ মসজিদের জায়গায়ই এখন ধান চাষ হয় বা অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রসঙ্গত, শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগো'ষ্ঠীর বি'রু'দ্ধে নি'পী'ড়নের অ'ভিযো'গ রয়েছে চীনের বি'রু'দ্ধে। অঞ্চলটিতে ব'ন্দিশিবির নির্মাণ, মুসলিমদের আ'টকে রাখা, জো'রপূ'র্বক শ্রম আদায়সহ অসংখ্য মা'নবা'ধিকার ল'ঙ্ঘ'নের গু'রু'তর অ'ভিযো'গ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে চীন এসব অভিযোগ অ'স্বী'কার করে দাবি, শিনজিয়াংয়ে চ'র'মপ'ন্থা ও স'ন্ত্রা'সবাদ দ'মনে পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে মুসলিমদের শিক্ষা দেওয়া হয়। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।