আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত সরকারের তিব্বতবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ের গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখার প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অমিতাভ মাথুর বলেছেন, চীন শ'ঙ্কি'ত যে তিব্বত হলো একটি অস্থি'তিশীল অঞ্চল। ২০০৮ সালের মতোই এই অঞ্চলে যেকোনো সময় স'ম'স্যা শুরু হতে পারে।
সম্প্রতি ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম 'রেডিইফ্ফ'র সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন তিনি। তিব্বতে ভারতের স্পে'শাল ফ্র'ন্টিয়ার ফোর্সের (এসএফএফ) মোতায়েন নিয়ে তিনি বলেন, তাদের সম্পর্কে এরই মধ্যে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। তাদের অস্তিত্ব নিয়েও ব্যা'পকভাবে জানাজানি হয়ে গেছে। তাই গো'প'নীয়তার বিষয়টি খুব কমই বাকি রয়েছে। আমি সত্যিই ভাবছি, এনিয়ে আরো কিছু বলার দরকার আছে কি না।
অমিতাভ মাথুর আরো বলেন, ''আমি পুরানো কর্মকর্তা। কেন আমাদের বা'হি'নী সম্পর্কে কিছু প্র'কা'শ করব? দেশটির কমা'ন্ডের অধীনে থাকা সম'স্ত যন্ত্রের মতো এসএফএফকে সেভাবে পরিচালনা করতে হবে। এসএফএফের নিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য, পোস্টিং ইত্যাদি; এমন জিনিসগুলো ভালোভাবেই গো'পন রাখা হয়। শ'ত্রুরা যদি তাদের ব্যা'পারে জানতে পারে তাহলে তাদের কেন একই ঠিকানায় রাখা হয়? সত্যিই এর কোনো প্রয়োজন নেই।
অমিতাভ মাথুর বলেন, ''তিব্বতে এসএফএফ কী কাজ করছে এনিয়ে কোনো সরকারি তথ্য নেই ও স্বচ্ছতাও নেই। আপনি যদি তিব্বতি সোশ্যাল মিডিয়া পড়েন; তাহলে মনে হবে তারা (তিব্বতীরা) যেন চীনের বি'রু'দ্ধে যু'দ্ধ ঘোষণা করেছে। আপনি যদি সরকারে ফাঁ'স হওয়া নথি পড়ে থাকেন তবে জেনে থাকবেন মাইন বি'স্ফো'রণের ঘ'টনায় এসএফএফ কর্মী নি'হ'ত হয়েছেন। তবে এটির সাফল্যের কথা বলা ঠিক হবে না। এটা ঠিক যে চীন এই বা'হি'নীর উপস্থিতি নিয়ে অ'বগ'ত রয়েছে। তারা প্রথমে এই বা'হি'নীকে নিয়ে উ'পহা'স করেছে। পরে বলছে, ভারতীয়রা শ'ত্রুপক্ষের কা'মানের সামনে তিব্বতীদের ব্যবহার করছে।
অমিতাভ মাথুর জানান, ''তিব্বতের মধ্যে ভারতের এসএফএফ মোতায়েনের বিষয়টি প্র'ভা'ব ফেলতে পারে। তাই আমি মনে করি এটি তাদের চ'র'ম বিচলিত করেছে। তিব্বতের মধ্যেই তিব্বতীদের ওপর এসএফএফ মোতায়েনের প্র'ভা'ব থাকতে পারে বলে তারা অবশ্যই উ'দ্বি'গ্ন।'' তিব্বতের পরি'স্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, তিব্বতে বর্তমানে চ'র'ম উত্তে'জনা বিরাজ করছে। স্বাধীনতা নিয়ে কিছুটা জো'রে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষত তরুণদের মধ্যে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং পরি'স্থিতিটি কিভাবে বি'স্ফো'রিত হয় তা দেখতে হবে।