মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪০:৩১

সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে বাংলাদেশ, অভিযোগ মিয়ানমারের

সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে বাংলাদেশ, অভিযোগ মিয়ানমারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ সৈন্য সমাবেশ করছে বলে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ অ'ভিযো'গ করেছে। দেশটির ইংরেজি পত্রিকা দ্য ইরাওয়াদি'তে সোমবার প্রকা'শিত এক প্র'তিবে'দনে এমন কথা বলা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একই অ'ভিযো'গ করেছিল বাংলাদেশ।

এখন বাংলাদেশের সৈন্য সমাবেশের যে অ'ভিযো'গ মিয়ানমার করছে তা অ'স্বী'কার করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। দ্য ইরাওয়াদি'তে সোমবার প্রকা'শিত এক প্রতিবে'দনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবা'হি'নীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ মিন টুন অ'ভিযো'গ করেছেন, সম্প্রতি ''দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্কে ব্যা'ঘা'ত না ঘ'টিয়ে'' দেশটির নিরা'পত্তা বা'হি'নী সীমান্তে টহল বাড়িয়েছিল।

মেজর জেনারেল জ মিন টুন বলেন, এখন বাংলাদেশ সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে। দেশটির নিরা'পত্তা বা'হি'নীর কয়েকটি বেনামী সূত্রকে উ'দ্ধৃ'ত করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের ১০ নম্বর ডিভিশনকে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেখা গেছে। এই সঙ্গে সেখানে ১৫৫মিমি রকেট ল'ঞ্চার, কাঁধে নিয়ে চালানো অ্যা'ন্টি-এয়া'রক্রা'ফট মিসা'ইলস এবং অ্যা'ন্টি-এয়া'রক্রা'ফট মেশিন গানসহ অ'স্ত্র সমাগম করছে বাংলাদেশ এমন অ'ভিযো'গও করা হয়েছে।

শনিবার এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে মেজর জেনারেল জ মিন টুন বলেছেন, "বুথিডং এবং মংডুতে সম্প্রতি আরাকান আর্মি এবং আরসার তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত এলাকায় নিরা'পত্তা বাড়ানো হয়েছে।" এখন বাংলাদেশের এই আপ'ত্তি ও অ'ভিযো'গ জানানোর বিষয়টি নিয়ে, মিয়ানমারের সাম'রিক বা'হি'নীর মুখপাত্র স'ন্দে'হ পোষণ করে বলেছেন, "বাংলাদেশের কোনও গো'পন এজে'ন্ডা রয়েছে" বলে তারা মনে করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সীমান্তর'ক্ষী বা'হি'নী বিজিবির কর্মকর্তারা কেউই সীমান্তে সৈন্য বাড়ানোর কথা বিবিসির কাছে স্বী'কার করেননি। এ অ'ভিযো'গকে কর্মকর্তারা অসত্য বলে দাবি করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই সপ্তাহ আগে সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের গতিবিধি বেড়ে গেছে অ'ভিযো'গ করে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ডেকে উ'দ্বে'গ জানানো হয়েছিল এবং আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়েছিল।

তার জ'বাবে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে ওই মহ'ড়া ''হু'মকি বা ভ'য় দেখানোর'' জন্য ছিল না। কিন্তু তখনো বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড নিয়ে স'ন্দে'হ পোষণ করার মত কোন বক্তব্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের ওই খবরটির সঙ্গে প্রকা'শিত একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তর'ক্ষী বা'হি'নীর একটি দল একটি রকেট লঞ্চার স্থাপনের চেষ্টা করছেন। বিজিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, ছবিটি বিজিবির কোন একটি প্রশিক্ষণ কালে তোলা, এবং বেশ আগে তোলা।

সীমান্তবর্তী টেকনাফ এবং বান্দরবানের ঘুমধুমের স্থানীয় মানুষ, সংবাদকর্মী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সেনা টহল ল'ক্ষ্য করার পর থেকেই মূলত ওইসব এলাকায় বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে।

এমন সব জায়গায়ও টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে কোন টহল চৌকি নেই। কিন্তু এই বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। এছাড়া অ'স্ত্র সমাগমের যে অ'ভিযো'গ মিয়ানমার তুলেছে, সেটিও সত্য নয় বলে স্থানীয় মানুষেরা জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে