শুক্রবার, ০২ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০৭:২৫

তুরস্কের উপর নিষে'ধা'জ্ঞা আরো'পের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

তুরস্কের উপর নিষে'ধা'জ্ঞা আরো'পের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিসের সাথে জ্বালানি সম্পদ এবং সমুদ্রসীমা নিয়ে ওপর একের পর এক চা'প প্রয়োগ ও উ'স্কা'নিমূলক আচরণের কারণে তুরস্কের উপর নিষে'ধা'জ্ঞা আরো'পের হুঁ'শিয়া'রি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন আঙ্কারাকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে "একতরফা কার্যক্রম থেকে বি'র'ত থাকার" আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, তুরস্ক ও গ্রিস এই অঞ্চলে সং'ঘ'র্ষের ঝুঁ'কি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি সাম'রিক হটলাইন স্থাপন করেছিল। এই বছরের শুরুর দিকে, তুরস্ক যখন ওই বিত'র্কিত অঞ্চলে সম্ভাব্য তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অনুস'ন্ধানের লক্ষ্যে একটি জাহাজ পাঠায় তখনই উত্তে'জনা ঘ'নী'ভূত হয়।

ইইউ কী বলেছে : মিসেস ভন ডের লেইন সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ইইউ "তুরস্কের সাথে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক চায় এবং এটি আঙ্কারার স্বার্থেই কাজে আসবে। তবে এই সুসম্পর্ক তখনই প্রতিষ্ঠা সম্ভব যদি তুরস্ক উ'স্কা'নি দেওয়া এবং চাপ প্রয়োগ বন্ধ করে।"

তিনি জানান, "তাই আমরা আশা করি যে এখন থেকে তুরস্ক একতরফা কার্যক্রম থেকে বির'ত থাকবে। আঙ্কারার এ জাতীয় কর্মকা'ণ্ড নিয়'ন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সমস্ত উপায়গুলো ব্যবহার করবে। আমাদের কাছে এমন কিছু উপায় আছে যা আমরা তাৎ'ক্ষ'ণিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি।"

গভীর রাতে ওই বৈঠক শেষে ইইউ সদস্যরা ডিসেম্বরে তুরস্কের আচরণ পর্যালো'চনা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং তারা "উ'স্কা'নিমূলক আচ'রণ" বন্ধ না করলে দেশটির ওপর নিষে'ধা'জ্ঞা আরো'প করা হবে বলে সম্মতি জানিয়েছে। বৈঠক শেষে অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ টুইটারে পোস্ট করে, বলেছেন, "তুরস্কের বি'রু'দ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো'পের একটি স্প'ষ্ট ই'ঙ্গি'ত দিয়েছে ইইউ কারণ দেশটি আন্তর্জাতিক আইন ল'ঙ্ঘ'ন করা অ'ব্যাহ'ত রেখেছে।"

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ইইউ তুরস্কের সাথে বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে, তবে ভূমধ্যসাগরে উত্তে'জনা না কমলে নিষে'ধা'জ্ঞার হু'মকি বহাল থাকবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং মিস ভন ডের লেইন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

এ ঘটনার পেছনে কারণ কী : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক দী'র্ঘদিন ধ'রেই বেশ না'জুক। ইইউ-র সদস্য হওয়ার জন্য তুরস্ক দী'র্ঘদিন ধ'রে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসলেও বারবার তা স্থ'গিত করা হয়েছে। বিশেষত তুরস্কে ২০১৬ সালের ব্য'র্থ সামরিক অভ্যু'ত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে মানবাধিকার এবং আইনের শা'সনের বিষয়ে কড়া স'মালো'চনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এই টা'নাপ'ড়েন সত্ত্বেও তুরস্ক ইইউর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে রয়ে গেছে। 

গ্রীসে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ইইউ, তুরস্কের সাথে একটি চু'ক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ক লাখ লাখ অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। গ্রিস এবং তুরস্ক উভয়ই ন্যাটোর সদস্য, তবে এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এবং সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কলহের ইতিহাস বেশ পুরনো। চলতি বছরের অগাস্টে গ্রীক দ্বীপ কাস্তেলরিজোর দক্ষিণে আঙ্কারা তাদের একটি রিসার্চ জাহাজ পাঠালে নতুন করে উত্তে'জনা ছড়িয়ে পড়ে। 

গ্রিস, তুরস্ক এবং সাইপ্রাস ওই দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে আসছে দী'র্ঘদিন ধ'রে। গ্রীস এই প'দক্ষে'পকে "নতুন করে উত্তে'জনা" ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে অ'ভি'হিত করেছে এবং ইইউ তার সদস্যদের বলেছে তুরস্কের বি'রু'দ্ধে সাইপ্রাস ও গ্রিসকে সমর্থন জানাতে। গত মাসে ওই জাহাজটি তুরস্কে ফিরে যাওয়ার পরে উত্তে'জনা কিছুটা কমে আসে এবং উভয় পক্ষই বলেছে যে তারা আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

সামরিক হটলাইন কেন : ব্রাসেলসের ন্যাটোর সদর দফতরে বৃহস্পতিবার তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে আলোচনার পরে হটলাইনের এই ঘোষণাটি সামনে আসে। নাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, "গ্রিস এবং তুরস্কের উভয়ই ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। এই দুই দেশ গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে উত্তে'জনা প্রশ'মনের যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে আমি তাকে স্বাগত জানাই।"

"এই সুর'ক্ষা ব্যবস্থাটি অ'ন্তর্নি'হিত বিরো'ধ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জায়গা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে এবং আমরা এটি আরও বিকাশের জন্য প্রস্তুত আছি।" এই ধ'রনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুটি পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। রাশিয়া এবং আমেরিকা স্নায়ু যু'দ্ধের সময় এ ধ'রণের সুর'ক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল এবং এটি তখন থেকেই কার্যকর হয়।

গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তে'জনার কারণে গত মাসে ফ্রান্স দুটি রাফালে যু'দ্ধবিমান এবং একটি নৌবা'হি'নী ফ্রিগেট পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করে। লিবিয়ার সং'ক'ট নিয়ে তুরস্কের সাথে আগে থেকেই ফ্রান্সের বি'রো'ধ চলে আসছিল। তুরস্ক লিবিয়ার বি'রু'দ্ধে অ'স্ত্র নিষে'ধা'জ্ঞা ''মানছে না' অ'ভিযো'গ তুলে ফ্রান্স নেটোর সমুদ্র অ'ভিযা'ন থেকে নিজেদের সাম'য়িকভাবে প্র'ত্যা'হার করে নিয়েছিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে