আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধ'রে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে র'ক্তক্ষ'য়ী যু'দ্ধ চলছে। ওই অঞ্চলে যু'দ্ধের লেলিহান শিখা ক্র'মেই বি'স্তার লাভ করছে। কেন এই যু'দ্ধ তার কারণ নিয়ে চলছে নানারকম বিশ্লেষণ।
যু'দ্ধের কারণ যাই হোক না কেন এর পরি'ণতি খুবই ভ'য়া'বহ এবং এ অঞ্চলের সব দেশের মধ্যে এ নিয়ে ব্যা'পক উ'দ্বে'গ ও আ'শ'ঙ্কা তৈরি হয়েছে। যু'দ্ধ শুরু করার জন্য দু'দেশই একে অপরকে অ'ভিযু'ক্ত করছে। যু'দ্ধের মাত্রা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ইরানের সীমান্ত থেকে বি'স্ফো'রণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে ইরানের সীমান্তবর্তী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের খোদা অফারিন এলাকায় ম'র্টারের গো'লা এসে পড়লে ওই এলাকার জনমনে প্রচ'ণ্ড আ'ত'ঙ্ক সৃষ্টি হয়। খোদা অফারিন শহরের গভর্নর আলী আমিরি রাদ বার্তা সংস্থা ইসনাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, গত শনিবার যু'দ্ধক'বলিত এলাকা থেকে ১০টিরও বেশি ম'র্টার ইরানের ভেতরে আ'ঘা'ত হে'নেছে। তবে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যু'দ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি ম'র্টারের গো'লা ইরানে এসে পড়েছে।
এটা ঠিক যে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউই ইরানের ভেতরে ম'র্টার হা'মলা চালায়নি। কিন্তু একবারে সীমান্ত এলাকায় এ ধ'রনের সং'ঘাতের ঘ'টনাকে ইরান গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং পরি'স্থিতির ওপর গ'ভী'র ন'জ'র রেখেছে। যে কোনো অ'নাকা'ঙ্ক্ষিত পরি'স্থিতি মো'কাবে'লার জন্য ওই অঞ্চলে ইরানের সেনাবা'হি'নীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সং'কটের ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে যে কারো পক্ষ থেকে ইরানের ভেতরে গো'লা নি'ক্ষে'পের ঘ'টনাকে তেহরান স'হ্য করবে না এবং দুই দেশকেই এর পরি'ণতির ব্যাপারে আমরা স'ত'র্ক করে দিচ্ছি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজারবাইজানের ভৌগোলিক অখ'ণ্ড'তার প্রতি সম্মান দেখানোর পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হা'ম'লা বন্ধ এবং দ্রুত সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে কোনো স'ন্দে'হ নেই যে যু'দ্ধ করে কোনো দেশই লাভবান হতে পারবে না এবং কেবলমাত্র নি'রী'হ মানুষের প্রাণহা'নি ও অবকাঠামোর ক্ষ'য়ক্ষ'তি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশ অত্যন্ত উ'দ্বে'গের সাথে কারাবাখ অঞ্চলের যু'দ্ধ পরি'স্থি'তি প'র্যবে'ক্ষণ করছে এবং আমরা সব পক্ষকে দ্রুত আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের এ অঞ্চলে যু'দ্ধ নয় শান্তির প্রয়োজন।
যাইহোক, আজারবাইজানের অখ'ণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর কথা বলে পরো'ক্ষভাবে ইরান সমর্থন দিলেও আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সং'ঘা'তে ইরানের হু'শিয়া'রি উচ্চারণ করা থেকে বোঝা যায় এ যু'দ্ধ বিস্তারের পরি'ণতির ব্যা'পারে ইরান চি'ন্তি'ত। তেহরান মনে করে কেবলমাত্র প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমেই এ সং'ক'টের অবসান ঘ'টতে পারে। সূত্র : পার্সটুডে