বুধবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১৩:৪৭

হিমালয়ে অ্যালবেডো এফেক্ট, ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে ভারত!

হিমালয়ে অ্যালবেডো এফেক্ট, ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে ভারত!

বিনোদন ডেস্ক : ধুলো লাগলে তার ফল ঠিক কী হয়, বলা কঠিন! তবে প্রাচীন কাল থেকে দেশের সাহিত্যে এবং সংস্কৃতিতে যার পরিচিতি দেবতার আ'ত্মা সেই হিমালয়ের গায়ে ধুলো লাগার পরিণাম বড় মা'রা'ত্ম'ক! যে কথা সম্প্রতি আমাদের জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানী ইয়ুন কিয়ান এবং ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ম্যাড্রাস-এর চন্দন সারঙ্গি।

এই দুই ভদ্রলোক যৌথ ভাবে প্রকা'শ্যে নিয়ে এসেছেন হিমালয় এবং তার বরফ গলে যাওয়া সং'ক্রা'ন্ত এক গবেষণা। সেই গবেষণার ত'থ্য দাবি করছে যে এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা ধুলো বয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের সুউচ্চ শৃঙ্গগুলোর উপর দিয়ে। আর তার পরিণামে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে এবং তা'ড়াতা'ড়ি গলে যাচ্ছে হিমালয়ের বরফ! ধুলোর এত ক্ষ'মতা?

সাফ জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা- এ তো আসলে সেই ধুলো নয় যা নাকে লাগলে একটা হাঁচি দিয়েই সম'স্যা মি'টিয়ে ফেলা যাবে। আদতে এর পরিমাণ অনেকটাই। আর সেটাই ডেকে আনছে বি'প'দ! তা, কী ভাবে ধুলোর প্রভাবে গলে যায় বরফ? ইয়ুন কিয়ান এবং চন্দন সারঙ্গি তাদের বক্তব্যে সে দিকটাও ব্যা'খ্যা করতে ভোলেননি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় অ্যালবেডো এফেক্ট। যা জড়িয়ে আছে কোনও বস্তুর সূর্যের উত্তা'প শুষে নেওয়া এবং বিকিরণ করার পদ্ধতির সঙ্গে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে ধুলো এমনিতেই সূর্যের উ'ত্তা'প অনেক বেশি পরিমাণে শো'ষণ করতে পারে। কেন না তার রংটাও হয় গাঢ়। কোনও গাঢ় রঙের জিনিস যেমন বেশি তাপ শো'ষণ করে, এ ব্যাপারটাও ঠিক তাই! ফলে সূর্যের তা'প শো'ষণ করে উত্ত'প্ত হয়ে থাকা ধুলোর রাশি যখন হিমালয়ের বরফজমা শৃঙ্গগুলোর সঙ্গে ঘ'ষা খাচ্ছে, পরি'ণামে বরফ গলে যাচ্ছে নিমেষে।

আর এই জায়গা থেকেই দেখা দিয়েছে বি'প'দ স'ঙ্কে'ত। ভারতের অনেক নদ-নদীই, বিশেষ করে গঙ্গা তো বটেই, পাশাপাশি যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এরাও মূলত বিপুল জলরাশি পেয়ে থাকে হিমালয়ের গলা বরফ থেকেই। তার একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ফলে হিমালয়ের বরফ গলে গিয়ে এই সব নদ-নদী দিয়ে প্রবা'হিত হয়ে গেলে একটা ভার'সাম্য বজায় থাকে। নদ-নদীগুলোও সারা বছর সভ্যতায় জলের জোগান দিতে পারে। আবার হিমালয়ও বরফ ঝরিয়ে হালকা হয়।

কিন্তু নতুন পরি'স্থিতিতে যদি বরফ-গলা জলের পরিমাণ অল্প সময়ের মধ্যে অস্বা'ভাবিক হারে বাড়তে থাকে, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই দেখা দেবে প্লাবন। যা এই দেশকে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেওয়ার পক্ষে যথে'ষ্ট! দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত পরি'স্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়! কিয়ান এবং সারঙ্গি এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা যাতে সমস্যার একটা সুরাহা হয়। আশা করা যায় তারা ভবিষ্যতে ভালো খবরই শোনাবেন!

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে