শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:৫১:৫৮

ভারতে ঘোড়ার রক্ত থেকে সিরাম দিয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসা!

ভারতে ঘোড়ার রক্ত থেকে সিরাম দিয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এর আগে ঘোড়ার রক্ত থেকে সিরাম অর্থাৎ রক্তের ঈষৎ হলুদ তরলাংশ দিয়ে গবেষকরা আশার সঞ্চার করেছিলেন র‌্যাবিস, হেপাটাইটিস বি, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের মতো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজাত রোগ নিরাময়ের। এবার সেই অভিজ্ঞতায় ভর করেই কোভিড-১৯ রোগীদের সারিয়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদী ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।

ঘোড়ার রক্ত অ্যা'ন্টিব'ডিযুক্ত, যে কারণে বি'ষা'ক্ত সাপ কা'মড়ালেও ঘোড়ার কিছু হয় না। সেই কারণে ঘোড়ার সিরাম দিয়েই তৈরি হয় সাপের বি'ষে'র প্র'তিষে'ধক। গবে'ষণায় দেখা গেছে, এবার অ্যা'ন্টিব'ডিযু'ক্ত ঘোড়ার সিরাম প্রয়োগে সেরে উঠতে পারেন করোনা রোগী। যাকে বলা হচ্ছে, ''অ্যা'ন্টিসেরা''। আইসিএমআর-এর পুনের শাখা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভায়রোলজি এবং হায়দ্রাবাদের কোম্পানি বায়োলজিক্যালস লিমিটেড এটি তৈরি করেছে।

ইতোমধ্যে অভিনব এই গবেষণা মানবদেহে ক্লি'নিক্যাল ট্রায়ালের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ড্রাগ ক'ন্ট্রো'লার জেনারেল অব ইন্ডিয়া-ডিসিজিআই'র অনুমোদনের পর একটি অতিকায় বড় মাপের ইঁদুর ও বাদুড়ের শরীরে প্রয়োগের পর অ্যা'ন্টিসেরা কাজ করেছে বলেই জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর ডিজি ডা. বলরাম ভার্গব। এমনকি প্রাণীর শরীরে কোনো পার্শ্বপ্র'তিক্রি'য়া দেখা যায়নি। তাই মানবদেহেও অ্যা'ন্টিসেরা কাজে দেবে বলেই আশাবাদী ভারত সরকারের প্রতিষ্ঠানটি।

অবশ্য এরও আগে করোনামু'ক্ত রোগীদের প্লা'জমা, কোভিড-১৯ শ'না'ক্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ফল মেলেনি। কিন্তু অ্যা'ন্টিব'ডিযু'ক্ত ঘোড়ার সিরাম কোভিড-১৯ নিরা'ময়ে কাজে দেবে বলেই আশাবাদী ভারতীয় গবেষকরা। তবে এটাকে ভ্যাকসিন নয়, ওষুধ বলা যেতে পারে।

আইসিএমআর-এর এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজেস বিভাগের প্রধান ডা. সমীরণ পাণ্ডা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ''সুস্থ ঘোড়ার শরীরে নি'ষ্ক্রি'য় র'ক্ত থেকে পি'উরিফা'য়েড সিরাম ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ভ্যাকসিন যতদিন না আসছে এ ধরনের ওষুধ করোনা রোগীদের সেরে উঠতে সাহায্য করবে। আ'ক্রা'ন্তদের অসুস্থতা রু'খতেও এটি কাজে দেবে বলেও জানান ডা. পাণ্ডা।''

অন্যদিকে, ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের মানবদেহে তৃতীয় ধা'পের ট্রা'য়াল চলছে চণ্ডীগড়ের সরকারি হাসপাতালে। এখনো পর্যন্ত কোনো নে'তিবা'চক প্র'তি'ক্রি'য়া দেখা যায়নি। তাই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়েও প্রবল আশাবাদী ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে