রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৩৬:৪৫

যেভাবে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার ল'ড়াইয়ের চেহারা বদলে দিয়েছে তুর্কি ড্রোন

যেভাবে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার ল'ড়াইয়ের চেহারা বদলে দিয়েছে তুর্কি ড্রোন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় দশ ঘণ্টা আলোচনার পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সাময়িক যু'দ্ধবিরতির বিষয়ে একটা সমঝোতা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে বিত'র্কিত নাগর্নো কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যে যু'দ্ধ হয়ে গেল-তা সামরিক বিশে'ষজ্ঞদের দৃষ্টি আ'ক'র্ষণ করেছে একটা বিশেষ কারণে।

দীর্ঘ তিন দশক ধ'রে পুরনো যে সং'ঘা'ত থেকে থেকেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে এবারের ল'ড়া'ইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ড্রোন-বিশেষ করে তুরস্কের তৈরি ড্রোন দিয়ে চালানো হা'ম'লা। এবারের ল'ড়া'ই, যা শুরু হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর, তার তী'ব্রতা বুঝিয়ে দিয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখে আর্মেনীয় ল'ক্ষ্যবস্তুর ওপর আজেরি ড্রোন হা'মলার ভিডিও ফু'টেজ।

এই ভিডিও ছবি থেকে স'ন্দে'হ দানা বেঁ'ধেছে যে এবারের ল'ড়া'ইয়ের জন্য আজারবাইজানের হাতে এসেছিল তুরস্কের বেয়ারআকতার ড্রোন। আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ ড্রোন থেকে তোলা এলাকার ছবি বিতরণ করেছে, যেখানে ল'ক্ষ্যবস্তুর অবস্থান চি'হ্ণিত করা হয়েছিল এবং সেখানে চালকবি'হী'ন 'কামিকাযি' কায়দার বিমানের ভিডিও দেয়া হয়েছিল। 

কামিকাযি হল একধরনের আ'ত্মঘা'তী বিমান-যেগুলো বি'স্ফো'রক অ'স্ত্রে সজ্জিত থাকে এবং ল'ক্ষ্যব'স্তুর ওপর আ'ঘা'ত করে নিজেই বি'স্ফো'রিত হয়ে যায়। সম্প্রতি দুটি দেশই তাদের অ'স্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে আজারবাইজান অ'স্ত্র সংগ্রহ করেছে আর্মেনিয়ার চেয়ে বেশি এবং আজেরিরা ড্রোন প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুঁ'কেছে।

বেয়ারআকতার ড্রোন কী : নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান ড্রোন হা'মলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে এবং দেশটির প্রতির'ক্ষা মন্ত্রণালয় এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিকতম এই ল'ড়া'ইয়ে যে ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সেটি হল তুরস্কের বেয়ারআকতার টিবি-টু মডেলের ড্রোন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাগোর্নো-কারাবাখে আজেরি সাম'রিক বা'হি'নীর হা'মলার যেসব ভিডিও দেশটির সরকার বিলি করেছে তা ফিল্ম করা হয়েছে টিবি-টু ড্রোন দিয়ে। কয়েক বছর আগে বেকার নামে তুরস্কের একটি সংস্থা এই ড্রোন তৈরি করে। এটি স্বয়ং'ক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে এবং এটি পর্যবে'ক্ষণ ও ল'ক্ষ্যবস্তু নির্ধা'রণের কাজে ব্যবহার করা যায়।

ড্রোনের বাজারে টিবি-টু একটি তারকা। ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে সিরিয়ায় অ'পারে'শন স্প্রিং শিল্ড অ'ভিযা'নে এই ড্রোন ব্যবহার করেছিল তুরস্ক। তুরস্ক টিবি-টু বিক্রি করেছে ইউক্রেনের কাছে। ৬ অক্টোবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদলু-র এক খবরে বলা হয়েছে যে সার্বিয়াও এই ড্রোন কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বি'ত'র্কিত এলাকায় আর্মেনীয় সাজোঁয়া যান বি'ধ্ব'স্ত করার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো বেয়ারআকতার ড্রোন দিয়ে তোলা বলে বিশেষজ্ঞরা যদিও নি'শ্চি'ত, কিন্তু এই ড্রোন যে আজারবাইজানের অ'স্ত্র সম্ভারের অংশ ছিল, তার স্বপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নি'শ্চ'য়তা এখনও পাওয়া যায়নি।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ৫ অক্টোবর ঘোষণা করেন যে, আজারবাইজানের কাছে তুর্কী ড্রো'ন রয়েছে। তবে তারা সেগুলো কিনেছে কি না, সে সম্পর্কিত কোন কাগজপত্র বা রসিদ আজেরি সরকার প্রকা'শ করতে পারেনি। জুন মাসে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, আজারবাইজানের প্রতির'ক্ষা মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে এই ড্রোন পাবে বলে তারা আশা করছে।

রুশ সাময়িকী আমর্স এক্সপোর্টের প্রধান সম্পাদক আন্দ্রেই ফ্রলভ মনে করেন, আজারবাইজান হয় গো'পনে এই চালকবি'হী'ন বিমান মজুত করছিল, না হয়ত সাম্প্রতিক এই ল'ড়াই শুরু হবার ঠিক আগেই এগুলো তাদের হাতে যায়।

ড্রোন বি'ত'র্ক : তুরস্ক থেকে ড্রোন কেনা বা সেগুলো রপ্তানি সং'ক্রা'ন্ত সরকারি ত'থ্য না থাকার বিষয়টা নিয়ে আবার তৃতীয় একটি দেশের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও উঠছে। সোমবার কানাডা ঘোষণা করে যে তারা তুরস্কে ড্রোন তৈরির প্রযুক্তি রপ্তানি ব'ন্ধ করে দেবে, নাগোর্নো-কারাবাখে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে এ নিয়ে স'ন্দে'হ বাড়ার কারণে।

কানাডার প্লাওশেয়ার প্রকল্প নামে একটি সংস্থা জানাচ্ছে নাগোর্নো-কারাবাখে আ'ক্র'মণ চালানো ড্রোনের ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে যে, যে বিমান থেকে হা'মলার ছবি তোলা হয়েছে সেটি কানাডার বহুজাতিক একটি প্রযুক্তি ও প্রতির'ক্ষা সংস্থা এলথ্রি হ্যারিস টেকনোলজিস ইঙ্ক প্রতিষ্ঠানের তৈরি সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। তুরস্ক কানাডার বি'রু'দ্ধে দ্বি'মু'খী আচরণের অ'ভিযো'গ করে বলেছে, নেটোর সহযোগী সদস্য এই দেশ সামরিক সহায়তার মানসিকতা লং'ঘ'ন করেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে