আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমের দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান তিনি। পিতা মৎস্যজীবীর কাজ করতেন। আজ বিশ্বের বিজ্ঞান-জয়যাত্রায় তার নাম উচ্চারিত হয়। তিনি আবুল পকির জয়নল আবদিন আব্দুল কালাম, ভারতের একমাত্র বৈজ্ঞানিক যিনি রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। আজ জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তার জীবন পথ।
একসময়ে খবরের কাগজ বিলি করেছেন রোজগারের তাগিদে। অল্প বয়েস থেকেই স্বপ্ন ছিল ফাইটার পাইলট হওয়ার। আটজন চালককে নির্বাচন করা হলেও কালামের নাম দুর্ভা'গ্যজনক ভাবে ছিল নয় নম্বরে। ফলে সেই স্বপ্ন অধ'রা থাকলেও, ভারতের মিসা'ইল ম্যান তিনি। পোখরানে ভারতের পরমাণু শক্তি পরীক্ষার ব্লু-প্রিন্ট তারই মস্তিষ্কজাত।
৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট অর্জন করেন কালাম। ছাত্রমহলে তার জনপ্রিয়তা অনের নামী শিক্ষকের কাছেও ঈর্ষণীয় ছিল। তার অনুস'ন্ধিৎসু মনটিকে চিরসম্মান দিতে তার জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আব্দুল কালাম। সে বছরই সর্বসাধারণের জন্য রাষ্ট্রপতিভবন খুলে দেওয়া হয়।
নিজেকে জনতার রাষ্ট্রপতি বলতে ভালবাসতেন কালাম। ২০১৫ সালে শিলং আইআইএম-এর মঞ্চে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দিতেই হঠাৎই হৃ'দরোগে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে বেহুঁশ হয়ে যান মিসাইল ম্যান। দু'কিলোমিটার দূরে বেথেনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃ'ত বলে ঘোষণা করেন।