আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা পরি'স্থিতিতে তেলের চাহিদা কমায় ৫০০ কোটি ডলারের জো'র ধা'ক্কা খেল মুকেশ আম্বানীর রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ। লকডাউনের সময় মুকেশের ডিজিটাল ব্যবসায় মুনাফা হলেও তৈল শো'ধনা'গার সংস্থাগুলি থেকে ওই পরিমাণ নিট মুনাফা হারিয়েছেন তিনি।
সোমবার ভারতের সবচেয়ে দামি সংস্থা রিলায়্যান্সের শেয়ার ৬.৮ শতাংশ পর্যন্ত নিম্নমুখী হয়। ব্লুমবার্গ বিলিয়োনেয়ার ইনডেক্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দিন দুপুর ১২টা ২১ মিনিট নাগাদ শেয়ার বাজারের ওই প্রব'ণতায় এক ধা'ক্কায় মুকেশের সম্পত্তি কমে যায় ৭,৩০০ কোটি ডলার। রিলায়্যান্সের শেয়ারে প'তনের আঁচ লেগেছে মুম্বাইয়ের শেয়ার বাজারের সূচক বিএসি সেনসেক্স-এও। এ দিন ওই সময় তা নেমে যায় ০.৭ শতাংশে।
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত মার্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তেলের বাজারে মুনাফার নিরিখে মুকেশের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিনটা ছিল এ দিন। ১২ মে-র পর থেকে রিলায়্যান্সের শেয়ার সবচেয়ে নীচে নেমে যায় আজ। পাশাপাশি, ২০ জুলাইয়ের পর এ দিন ওই সংস্থার শেয়ারের দাম সবচেয়ে কমে যায়। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় রিলায়্যান্সের ত্রৈমাসিক মুনাফা ১৫ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছিল। যার ফলে সংস্থার ১৩০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছিল।
মূলত, করোনা পরি'স্থিতির মোকাবিলায় লকডাউন চলাকালীন যানবাহন কম চলায় বিশ্ব জুড়েই তেলের চাহিদা তলানিতে। তার জেরে রিলায়্যান্সের তেলের ব্যবসায় ধা'ক্কা লেগেছে। সংস্থার মুনাফা পড়েছে ২৪ শতাংশ। লকডাউন চলাকালীন অপরিশো'ধিত তেল পরিশো'ধনের মাধ্যমে তা জ্বালানীতে পরিণত করার ক্ষেত্রে ব্যারেল প্রতি গ্রস মুনাফা কমেছে ৫.৭ ডলার। গত বছরে তা ছিল প্রতি ব্যারেল ৯.৪ ডলার।
তবে পেট্রোকেম ব্যবসায় ধা'ক্কা লাগলেও লকডাউনের সময়ই ডিজিটাল সংস্থায় একের পর এক নয়া বিনিয়োগ টেনে এনেছে রিলায়্যান্স জিয়ো। বস্তুত, ওই সময় রিলায়্যান্সের টেলিকম শাখা রিলায়্যান্স জিয়োর নিট মুনাফা তিন গুণ বেড়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুনাফা হয়েছে ২৮৪৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি, গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে জিয়োর। জিয়ো জানিয়েছে, ২০১৯-২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রাহক পিছু তাদের আয় ছিল ১২৭.৪ টাকা। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। ই-কমার্স ব্যবসার হাত ধরেও নতুন উদ্যোগে ময়দানে নেমেছেন ৬৩ বছরের মুকেশ।