শুক্রবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২০, ০৮:৫৫:৫১

অটোমান সাম্রাজ্য পতনের দুইশ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রীসের প্রথম মসজিদ

অটোমান সাম্রাজ্য পতনের দুইশ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রীসের প্রথম মসজিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিম বিশ্বের কাছে এথেন্স ছিল এমন একটি কল'ঙ্কিত শহর যেখানে কোনো মসজিদ ছিল না। অবশেষে গ্রীসে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম কোনো মসজিদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের দুইশ বছর পর দেশটিতে মুসলিমদের স্থায়ী উপাসনালয় স্থাপিত হল যা রাষ্ট্রীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে।

এথেন্স ছিল ইউরোপের একমাত্র মসজিদহীন শহর। চলতি মাসের ১৪ তারিখে এখানে মসজিদটির যাত্রা শুরু হচ্ছে। এখানে মুসলিমদের উপাসনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও প্রস্তুত করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক জায়গায় এ দেশের মুসলিমরা প্রার্থনা করত। গ্রীসের রাজনীতিতে একগুচ্ছ মৌলিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন উদার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

দেশটির ধর্ম বিষয়ক সচিব জর্জিয়াস ক্যালানন্টিস জানান, ২০০৬ সাল থেকে সরকাগুলোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলাফল আজকের এই পরিবর্তন। দেশটিতে '৩৫১২-আইন' পাসের মধ্য দিয়ে গ্রিস নিজ দেশ ও বহির্বিশ্বে গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পারষ্পারিক সম্মানের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। ৩৫০ জন ধারণ ক্ষ'মতার মসজিদটিতে কভিড-১৯ পরি'স্থিতির কারণে প্রার্থনার লোক সমাগম কম রাখার নির্দে'শ প্রদান করা হয়েছে।

মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মরক্কো বংশোদ্ভূত ৪৯ বছর বয়সী গ্রীক নাগরিক জাকি মাহমুদ। মুসলিমদের জন্য উপাসনালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ও লবিংয়ের কাজটি করেছেন এথেন্সের মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের নেতা নাইম এল ঘান্দোর। তিনি এখন বেশ উচ্ছ্বাসিত। 

মসজিদের যাত্রা শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সন্তান গ্রীক ছেলেমেয়েদের সঙ্গে স্কুলে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় এবং বসবাস করে। কিন্তু তারা যখন প্রার্থনা করতে যেত তখন একজন গির্জায় যেত অথচ মুসলিম সন্তানরা ভূগর্ভস্থ গ্যারেজে যেত। এই চিত্র একজন মুসলিম শিশুর মনে এটাই মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের সমমর্যাদার গ্রীক নাগরিক নন। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে