মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০, ০৬:২৪:১৫

এবার নাগোরনো-কারাবাখে সেনা মোতায়েন রাশিয়ার

এবার নাগোরনো-কারাবাখে সেনা মোতায়েন রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগোরনো কারাবাখে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মস্কোর মধ্যস্থতায় ইয়েরেভেন ও বাকুর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী সেনারা সেখানে পৌঁছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ চুক্তিকে নিজ দেশের জন্য একটি গৌরবজনক বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। 

অন্যদিকে চুক্তিটিকে নিজের ও নিজ দেশের জনগণের জন্য বেদনাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুক্তিতে জয় হয়েছে আজারবাইজানের। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আমাদের জনগণের জন্য আমার কাছে অবর্ণনীয় ও বেদনাদায়ক। তবে বিদ্যমান সামরিক পরিস্থিতির একটি গভীর গভীরতা বিশ্লেষণ করেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সরকার। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিই সবচেয়ে ভালো সমাধান। যুদ্ধ বন্ধ করতে এই চুক্তি মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম বলেছেন, আজারবাইজানের সামরিক সাফল্যের কারণে আর্মেনিয়া সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে কোনও রক্তপাত ছাড়াই আমরা আমাদের এলাকা ফেরত পাবো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এ পদক্ষেপ সংঘর্ষ থামিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমঝোতার পথ সুগম করতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে পুরোপুরি সংঘ'র্ষ থামাতে একটি চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। এ চুক্তিতে রাশিয়া, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান—তিন পক্ষই সম্মত হয়েছে। এ চুক্তি মোতাবেক আজ মধ্যরাত থেকে সেখানে পূর্ণ যু'দ্ধবির'তি বজায় থাকবে। ওই অঞ্চলে র'ক্তক্ষ'য়ী সংঘ'র্ষে হাজারো মানুষ মা'রা গেছে এবং অনেকেই বাস্তুহা'রা হয়েছে। বিস্তৃত অঞ্চলে যু'দ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশ'ঙ্কা করা হচ্ছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, আজারবাইজান তাদের অধিকৃত সমস্ত অঞ্চল পাবে, যার মধ্যে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর শুশাও পড়বে। আর্মেনীয় বিচ্ছি'ন্নতাবাদীদের আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যান্য অঞ্চলের কিছুটা ছেড়ে দিতে হবে। রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনী ওই অঞ্চলে পাঁচ বছর অবস্থান করবে। পুতিন বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের সামনে সারিতে থাকবে। এই দুই অঞ্চলের মধ্যে করিডর স্থাপন করা হবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ১ হাজার ৯৬০ জন সেনাকে ওই অঞ্চলে মোতায়েন শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে আজারবাইজানদের সমর্থন দেওয়া তুরস্কের ভূমিকার ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, প্রায় তিন দশক ধরে ২০ শতাংশ আজারবাইজানি ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখলে রেখেছে আর্মেনীয় বাহিনী।  

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে