রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৪৭:৩৮

চুক্তি থেকে সরে আসতে চাইছে চীন, বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান

চুক্তি থেকে সরে আসতে চাইছে চীন, বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) উন্নয়নে ইসলামাবাদকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে চাইছে বেইজিং। এ প্রকল্পে পাকিস্তানকে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীন। তবে পাকিস্তানজুড়ে দুর্নীতি বৃদ্ধি ও সম্প্রতি চীনা প্রকৌশলীদের ওপর হামলার কারণে চুক্তি থেকে সরে আসতে চাইছে তারা।

সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে চীনা প্রকৌশলীদের ওপর হামলা হয়। হামলায় আহতরা সিপিইসির কাজের সঙ্গে যুক্ত। এর পরপরই ইমরান খান সরকার সে দেশের সেনাবাহিনীর ওপর সিপিইসির পুরো দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চীনা প্রকৌশলীদের ওপর এ হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী সিপিইসির পুরো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী চীনা ইঞ্জিনিয়ারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।  

ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থায় পাকিস্তানের জন্য সিপিইসি একটি বহুল প্রতীক্ষিত প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে অনেকটা সাহায্য করে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং চায়না এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক। ২০১৬ সালে এই দুটি ব্যাংক পাকিস্তানকে সামগ্রিক ঋণ দিয়েছিল ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে গত বছর পাকিস্তানকে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় চীন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ঋণের পরিমাণ আরো ১ বিলিয়ন ডলার কমেছে। পাকিস্তান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের এক সূত্র জানায়, সিপিইসি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে পাকিস্তান চীনা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছে। এর মধ্যে রেলওয়ে প্রকল্প যোগ করা হয়েছে। আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। তাই আমরা এ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে যোগাযোগব্যবস্থার ওপর আরো জোর দিয়েছি।

এদিকে পাকিস্তানকে ঋণের জাল থেকে উদ্ধার করতে আবারও ১৫০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে চীন। সৌদি আরবের কাছে পাকিস্তানের ২০০ কোটি ডলারের ঋণ আছে। এ ক্ষেত্রে চীন যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, সেখান থেকে ১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয় গত সোমবার। বাকি ১০০ কোটি জানুয়ারিতে শোধ করার কথা রয়েছে। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস্।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে