সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৪:৫৯:৫১

ইমরান খানের 'নয়া পাকিস্তান', দেশ জুড়ে খাবারের জন্যে হাহাকার!

ইমরান খানের 'নয়া পাকিস্তান', দেশ জুড়ে খাবারের জন্যে হাহাকার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। ইতিমধ্যে সে দেশের খাদ্যদ্রব্যসহ সমস্ত কিছু চলে গেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। রীতিমত ভয়ঙ্কর অবস্থা পাকিস্তানে। 

সিএনএন সূত্রে খবর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, পাকিস্তানে এখন একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকাতে। এক কেজি আদা কিনতে গুনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা। এক কেজি চিনির দাম ১০৪ টাকা, এক কেজি গম ৬০ টাকা। করোনা সংকটের মধ্যেই নতুন করে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্য কমাতে এখনও পর্যন্ত কোনো দিশা দেখাতে পারেননি ইমরান খান। ফলে পাক সরকারের উপর ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছেই। উল্লেখ্য, ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই নতুন পাকিস্তান গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানে বর্তমানে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা তাকে বেশ চাপে রেখেছে। 

বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে। চাল, ডাল, ডিম, সবজি সব কিছুর দামেই যেন আগুন লেগেছে। কয়েক দিন আগেই ইমরান খান চিনির দাম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিমের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন প্রতি ডজন ডিম ৩৫০ পাকিস্তানের টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। 

এই ধরনের মানুষের একটি বড় অংশেরই খাদ্য তালিকায় ডিমের প্রাধান্য থাকে। কিন্তু সেটাও এখন নাগালের বাইরে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই পাকিস্তানে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। সে সময় ৪০কেজি গম কিনতে ২০০০ পাকিস্তানের টাকা খরচ করতে হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে এই রেকর্ড ভেঙেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি গম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ফলে পাকিস্তান জুড়ে এখন শুধু ভয়াবহ ছবি। রাজনৈতিক কারবারিরা বলছেন যে, পাকিস্তান জুড়ে এখন খাবারের জন্যে হাহাকার অবস্থা সেখানে এখনও যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন ইমরান খান সরকারের মন্ত্রীরা!

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে