শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী, ২০২১, ০৯:৫৪:১৪

ইইউ-চীন মুক্ত বিনিয়োগ চুক্তি, বন্ধু হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইইউ-চীন মুক্ত বিনিয়োগ চুক্তি, বন্ধু হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রেক্সিটের পর বড় বড় বিনিয়োগ চুক্তি সম্পাদন করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয় মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও সেটি সামাল দিতে মরিয়া ব্রিটেন। তবে শুধু ব্রিটেনই নয়, ক্ষতির মুখে পড়বে ইইউ জোটও। তাই বসে নেই জোটের সদস্য দেশগুলো। 

এবার এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে মুক্ত বিনিয়োগ চুক্তি করলো এই জোট। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ক্ষমতাগ্রহণের আর মাত্র চারদিন বাকি, তখন মিত্ররা মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হল। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে ইইউ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য আলোচনা করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। 

এ চুক্তির জন্য দীর্ঘ সাত বছর ধরে আলোচনা করে আসছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন। গতসপ্তাহে অনুমোদন হওয়া এ চুক্তি মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে উভয়পক্ষের বিনিয়োগ প্রবাহে উৎসাহ দেবে। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র, ব্রেক্সিটের অপর পক্ষ ব্রিটেন একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে তুরস্কের সঙ্গে। অপর দিকে নতুন করে মার্কিন-তুরস্ক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। 

নিজেদের স্টোরেজ থেকে ১০৫টি অ্যাপ ডিলিট করেছে চীন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ট্রিপ অ্যাডভাইজার অ্যাপও রয়েছে। এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি, যৌনবৃত্তি, ভায়োলেন্স, জুয়াসহ নানা অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। এর কিছুদিন আগে মার্কিন সরকার টিকটক, উইচ্যাট, টেনসেন্টসহ বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ এনে সেগুলো নিষিদ্ধ করে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন যাবত দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্ক অবণতি হতে হতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

যদিও ওই চুক্তিতে ইইউতে ব্রিটেন থাকাকালে যেসব কার্যক্রম ছিল তাই বহাল রাখা হয়েছে। যুক্ত হয়নি নতুন কোনো প্রস্তাব বা ধারা। তবে, ভবিষ্যতে দেশ দুটির বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নতির একটি পথ তৈরি হলো। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে ইইউর হওয়া চুক্তি যেমন একটি বড় চমক তেমনি, এ চুক্তি দুপক্ষের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আরও নতুন নতুন বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যুক্ত হতে সহায়তা করবে।

ইউরোপীয় কমিশন অনুযায়ী, এ চুক্তির উদ্দেশ্য হলো চীনের বাজার উন্মুক্ত করা এবং ইউরোপীয় সংস্থাগুলোকে সমভিত্তিতে প্রতিযোগিতা থেকে বিরত রাখা বৈষম্যমূলক আইন ও অনুশীলনগুলো অপসারণ করা। আর ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই চীনের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল। এটি সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান ব্লককেও ছাড়িয়ে যায়।

এদিকে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চীনের তিনটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (এনওয়াইএসই)। তিনটি কোম্পানি হচ্ছে- চায়না মোবাইল লিমিটেড, চায়না টেলিকম লিমিটেড এবং চায়না ইউনিকম হংকং লিমিটেড। ফলে মার্কিন-চীন ক্রম বর্ধমান দূরত্বে বন্ধু ইইউ এবং ব্রিটেনকে প্রয়োজন মতো পাশে পাচ্ছেন না নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে