শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৪:৪৫:০২

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের আর্তনাদ, উদ্ধারের চেষ্টা

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের আর্তনাদ, উদ্ধারের চেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে একটি হাসপাতাল, দুইটি হোটেলসহ বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন অনেকে। তাদেরকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইন্দোনেশিয়া পশ্চিম সুলাওয়েসিভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, এরইমধ্যে ভূমিকম্পে ৩৫ জনের প্রাণহানির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে তারা। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১ টা নাগাদ সুলায়েসি দ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের উৎসস্থল ম্যাজিন শহরের উত্তর–পূর্বে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই কম্পনের ২৪ ঘণ্টা আগেও ওই দ্বীপে ৫.৯ মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

ভূমিকম্প ও আফটার শকের কারণে তিনটি ভূমিধস হয়েছে। এর কারণে মাকাসার শহরের মতো আঞ্চলিক হাবগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেখানে যাওয়ার সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে ৬০টি আবাসিক ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুটি হোটেল, প্রাদেশিক গভর্নরের অফিস, শপিং মলেরও ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে মামুজুতে ভেঙে পড়েছে হাসপাতাল। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়েছেন রোগী, চিকিৎসক, নার্স সকলেই।

মামুজু শহরের একটি উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্য আরিয়ান্তো বলেন, ''হাসপাতাল ধসে গেছে, বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এটি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীরা। আমরা এখন তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।'' তবে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ চাপা পড়েছেন তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী মাজেনিতে ৬৩৭ জন আহত হয়েছে। আর মামুজু শহরে আহতের সংখ্যা ২৪ জন। এখনও কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। 

তবে ইন্দোনেশিয়ার মিটিওরোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স এজেন্সি (বিএমকেজি)-এর প্রধান দোয়িকোরিতা কারনাওয়াতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আরও আফটার শক হতে পারে। আরেকটি শক্তিশালী ভুমিকম্প হয়ে সুনামির আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি জানান, এরইমধ্যে অন্তত ২৬টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। কারনাওয়াতি বলেন, প্রথম কথা হলো সুনামি কখন হবে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকা যাবে না। এটি খুব দ্রুতই ঘটে যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে