শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ১১:৪২:২১

সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়ায় নজিরবিহীন শক্তি দেখালো ইরান

সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়ায় নজিরবিহীন শক্তি দেখালো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারি সারি সাজানো ক্ষেপণাস্ত্র। ছুটে চলছে লক্ষ্যবস্তুতে। ধ্বংস করে দিচ্ছে সবকিছু। যুদ্ধ নয় চলছে যুদ্ধের মহড়া। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমিতে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালানো হয়। সমুদ্রে বিশাল মহড়ার পর এদিন ইরানের কেন্দ্রীয় মরুভূমিতে ড্রোনের মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হয়।

পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে একের পর এক নতুন শক্তির জানান দিচ্ছে রুহানি প্রশাসন। ভূমি থেকে ভূমি এবং ড্রোন থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় জ্বালানি ব্যবহার করা হলেও পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের ছোট ছোট এসব ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের যেকোনো যুদ্ধবিমান আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই মহড়া শত্রুপক্ষকে সতর্ক বার্তা দেবে। আমাদের এই শাসন পদ্ধতি, মূল্যবোধ কেবলমাত্র শত্রুদের কাছ থেকে ইসলাম এবং ইরানকে রক্ষা জন্য।

পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে একের পর এক নতুন শক্তির জানান দিচ্ছে তেহরান। গেল বুধবার ওমান সাগরে সামরিক মহড়া করেছে ইরানের নৌবাহিনী। ওই মহড়ায় মাখরান নামের একটি সামরিক জাহাজের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক জাহাজ হিসেবে ইরানের নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এর আগে গত শনিবার পারস্য সাগরে ব্যাপক আকারে নৌ মহড়া চালায় ইরান।

এছাড়া, ডিসেম্বর মাসে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন মহড়ার আয়োজন করা হয়। শত শত চালকবিহীন বিমানের পাশাপাশি, ওই মহড়ায় অংশ নেয় ইরানের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা ইউনিট। শত্রুকে বোকা বানানো কিংবা শত্রু স্থাপনায় প্রবেশ করে আত্মঘাতী হামলা চালানো- সব কিছুতেই পারদর্শী ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এসব চালকবিহীন বিমান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে