আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ''ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।'' পুরুলিয়ার জনসভায় এভাবেই হুঙ্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায়কে একহাত নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''সায়নী বলে একটা মেয়ে ছবিতে কাজ করে। আজকে তাকে যেভাবে ধমকানো হচ্ছে, চমকানো হচ্ছে… আজ সকালেই শুনলাম তাকে ধমকাচ্ছে। তুমি দিল্লিতে ধমকাও, উত্তরপ্রদেশে ধমকাও, বিহারে ধমকাও, তুমি বাংলায় ধমকানোর আশা রাখো কোত্থেকে? ক্ষমতা থাকে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও। টলিউডের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।''
এরপরই আবার নাম না করে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বয়স হয়ে গিয়েছে ভীমরতি যায় না। নাতনির বয়সি মেয়ে, তাকে প্রতিদিন ধমকাচ্ছে। কীসের জন্য? তার কি স্বাধীনভাবে কথা বলবার অধিকার নেই?''
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেন সায়নী ঘোষ। বাঙালিয়ানা নিয়ে বিতর্কীত মন্তব্য করেন। তার সেই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় চর্চা। এরই মাঝে আজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগের অর্থাৎ ২০১৫ সালের সায়নী ঘোষের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি টুইট আবার সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়। সায়নীর টুইটে দেখা গিয়েছিল, শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরাচ্ছেন এইডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ম্যাসকট 'বুলাদি'।
এই টুইটটি হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করেছে বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। টুইট যুদ্ধের পরই শুরু হয় আইনি যুদ্ধ। সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ত্রিপুরা-মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। এরপরই সায়নী জানান, তিনি নিজের ধর্মকে কোনওভাবে আঘাত করতে চাননি। অভিনেত্রীর দাবি, ২০১৫ সালে টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। সেই সময় এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। পরে যখন নজরে আসে তখন তিনি টুইটটি ডিলিট করেন।