বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৫০:৫৮

দোল খেতে গিয়ে মারা গেল ওপার বাংলার সোহম

দোল খেতে গিয়ে মারা গেল ওপার বাংলার সোহম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাপড়ের দোলনায় দোল খাওয়াই কাল হলো এক শিশুর। দোল খাওয়ার সময় কাপড় পেঁচিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। বুধবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইটিনের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ওপার বাংলার হাবড়ার পল্লীমঙ্গল এলাকায়।

শিশুটির নাম সোহম দাস। সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। দশ বছরের ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ হাবড়ার দক্ষিণের পল্লীমঙ্গল এলাকার দাস পরিবার। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এক গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়া শেষ করে বাড়ি আসে সোহম। এদিন সোহমকে আরও একজন গৃহশিক্ষক পড়াতে আসার কথা ছিল। সেই শিক্ষক আসতে একটু দেরি করায় ছোট্ট সোহম মায়ের কাছে খেলতে যাওয়ার আবদার করে। কিন্তু সন্ধ্যা হওয়ার কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেন তার মা। 

সোহম মায়ের কথা মতো বাইরে না গিয়ে বাড়ির দোতলার ঘরে চলে যায়। সোহমের বড় কাকা রঞ্জন দাস ভারতীয় গণমাধ্যমকে বুধবার জানান, সোহম একাই দোতলার ঘরের দোলনায় দোল খাচ্ছিল। কাপড়ের দোলনায় বসে প্যাঁচ দিয়ে ঘুরে ঘুরে দোল খাওয়াটা ছোট্ট সোহমের একটা প্রিয় খেলা। তার অনুমান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একইভাবে দোল খাচ্ছিল সে। 

রঞ্জন দাসের দাবি এক দিকে পাক দিলে দোলনা যেমন ঘুরে গিয়ে আবার আগের জায়গায় এসে উল্টো পাক দেয় সেই ধরনের পাঁকে সোহমের গলায় আটকে যায় দোলনার কাপড়। আর তাতেই মৃত্যু হয় সোহমের। দোতালায় ওঠার দশ মিনিট পরে সোহমের মা গিয়ে দেখেন দোলনার প্যাঁচে আটকে আছে সোহম। দ্রুত তাকে দোলনার প্যাঁচ থেকে ছাড়িয়ে হাবড়ার রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। পেশায় ব্যাগের কারখানার কর্মী সোহমের বাবা ধনঞ্জয় দাসকে চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সোহমের মৃত্যু হয়েছে।

সোহমের প্রতিবেশী তন্ময় দে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, কাপড়ের দোলনা জানলায় টানানো ছিল। সেই দোলনায় প্যাঁচে আটকেই চলে যেতে হল সোহমকে। একটু নজর রাখলে সোহমের এমনটা হতো না বলে তার আক্ষেপ। হাবড়া হাসপাতাল থেকে সোহমের নিথর দেহ তুলে দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। বুধবার বারাসাত হাসপাতালে সোহমের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে