আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মাদার টেরিজার পাশে দিব্যি শোভা পাচ্ছে আসারাম বাপুর ছবি। আর সেই ছবি দেখিয়েই তৃতীয় শ্রেণির শিশুদের শেখানো হচ্ছে, আসারাম বাপুও ওই মহাপুরুষদেরই এক জন। আর এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে ভারত জুড়ে।
ভারতের রাজস্থানের জোধপুর জেলার স্কুলগুলির তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে এই ছবি ছাপা হয়েছে। আর শিশুদেরও শেখানো হচ্ছে আসারাম বাপুও এক জন সাধুসন্ত। এই ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। আর যাকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক, তিনি গত দু’বছর জোধপুর জেলে। কারণ ২০১৩-র অগস্টে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) নিগ্রহের অভিযোগে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, জোধপুরের স্কুলগুলিতে তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্য বই ‘নয়া উজালা’-র একটি অধ্যায়ে স্বামী বিবেকানন্দ বা রামকৃষ্ণের মতো মহাপুরুষদের পাশেই স্থান পেয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর ছবি। সেই সঙ্গে ওই অধ্যায়টিতে রয়েছে গুরু নানক, কবীর, মীরা বাঈ ও শঙ্করাচার্যের ছবিও। শুধু আসারামই নন, ওই বইয়ে সাধুসন্তদের তালিকায় রয়েছেন যোগগুরু রামদেবও।
স্কুলগুলির তরফে জানানো হয়েছে, গুরুকুল এডুকেশন বুকস নামে দিল্লিরই একটি প্রকাশনা সংস্থা ওই বইটি প্রকাশ করেছিল। তবে আসারামের ছবি কেন শিশুদের পাঠ্য বইয়ে স্থান পেল?
এ প্রসঙ্গে দিল্লির ওই সংস্থার তরফে এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যখন ওই বইটি ছাপা হয়েছিল, তখন আসারামের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই ওই বইটির সব সংস্করণ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রকাশনা সংস্থাটি। পাশাপাশি, ওই বইয়ের নতুন সংস্করণও ছাপা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
আসারাম বাপুর ছবি নিয়ে এত জলঘোলা হওয়ার পর শিক্ষা দফতরের অফিসাররা সাফাই দিয়েছেন, শিশুপাঠ্যে আসারাম বাপুর ছবি ছাপার কথা তারা জানতেনই না এত দিন। তবে এখন জানার পর এখন স্কুলে স্কুলে নোটিস পাঠিয়ে ওই বইটির ব্যাপারে জানাবেন তারা।