আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অনুপ্রেরণা হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছে চীনের গ্লোবাল টাইমস। বেইজিংয়ের প্রতি রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ও বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
আর চীনের সমালোচকদের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত ভাষ্য দেয়ার জন্য বিখ্যাত এ পত্রিকাটি। জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য ছাপে তারা। চীনের অর্থনৈতিক প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মিয়ানমার। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির আটককে 'মন্ত্রিসভার বড় ধরনের রদবদল' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রতিবেশী চীনের গণমাধ্যম। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত না করে এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন এবং নতুন সরকারের যাত্রালগ্নে সামরিক বাহিনীর এ নিয়ন্ত্রণের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক নেতারা। যারা মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন তাদের কথা মাথায় রাখার অভিব্যক্তি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কিন্তু চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা এ অভ্যুত্থানের প্রতি সতর্ক পদক্ষেপ ও নরম মনোভাব গ্রহণ করেছেন। মতপার্থক্য কমিয়ে আনতে মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে 'মন্ত্রিসভার বড় ধরনের রদবদল' বলে আখ্যায়িত করেছেন বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার কর্মকর্তারা।
আর অজ্ঞাত বিশেষজ্ঞদের বরাতে এ অভ্যুত্থানকে মিয়ানমারের অকার্যকর ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে একটি সমন্বয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে গ্লোবাল টাইমস। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কটাক্ষ করতে এ অভ্যুত্থানকে ব্যবহার করেছে তারা। গ্লোবাল টাইমস জানায়, কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। এছাড়া ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় তিনি উসকানি দিয়েছেন। কাজেই তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন।