মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৯:৫৯

মিয়ানমারের শহরে শহরে যেভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সেনারা

মিয়ানমারের শহরে শহরে যেভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী। রাজধানীসহ দেশটির প্রতিটি শহরের অলিতে-গলিতে কিছুক্ষন পরপরই টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর বিশালবহর। হেলিকপ্টারে নজরদারি চালাচ্ছে পুরো রাজধানীতে। একই চিত্র রাজধানীর বাইরেও। বাড়িবাড়ি ঢুকে ধরপাকড় শুরু করেছে। চলচ্চিত্র নির্মাতা মিন এইসটিন কো কো গি'কে আটক করা হয়েছে। 

এ ছাড়া অন্তত ১৬ জন সমাজকর্মী ও ৪২ জন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বন্দিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা। সু চির ডাকে সাধারন মানুষ রাস্তায় নেমে না আসে, সেজন্যই এমন ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে জান্তারা। 

ভয়ে-আতঙ্কে জনগন আগের মতোই সামরিক শাসনকে মেনে নেয়-সেই কৌশল বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে সেনাবাহিনী। দেশটির সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর ইয়াঙ্গন থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানান, বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং শহরটির আশেপাশের এলাকাগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। 

শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন মায়াবতী টিভি চালু আছে। আর সব টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ রয়েছে। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার আগে সোমবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গ্রেফতার করা মন্ত্রী-এমপিদের মঙ্গলবারে অনেকটা উন্মুক্ত একটি কারাগারে রেখেছে সামরিক জান্তা। 

প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোর একটি পার্লামেন্ট ভবনের একটি আবাসিক  কমপ্লেক্সে তাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনিসহ ৪০০ পার্লামেন্ট সদস্য পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনী আটক ও ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে।  

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে