মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ০৮:৫০:১৬

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিতে পারেন জো বাইডেন

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিতে পারেন জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন। ক্ষমতায় বসেছেন মাত্র ১৪ দিন। এরমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।  মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান মোকাবেলা করাই এখন নতুন চ্যালেঞ্জ বাইডেন প্রশাসনের। সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে দেশটির সামরিক বাহিনী। 

তারা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে। তারা সু চিসহ দলটির কয়েকজন নেতাকে বন্দি করে। এরপরই ক্ষমতা দখলে নিয়ে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। এই ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুশিয়ারি দেয়। 

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,  সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সম্পর্কে ব্রিফ করেছেন।

সাধারণ নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেওয়ার যে কোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপগুলোর ব্যত্যয় ঘটলে মিয়ানমারের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট, ক্ষমতাসীন দলের প্রধানসহ আটক সুশীল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেছেন। ৮ নভেম্বরের জনরায় মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে হোয়াইট হাউসের পর সোমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই মিয়ানমার ইস্যুতে বিবৃতি দেন। তিনি মিয়ানমারকে হুমকি দিয়ে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করবে তার প্রশাসন। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে বাইডেনের সম্ভাব্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপগুলো কী হতে পারে, তা উল্লেখ করেছে রয়টার্স।  

খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন বাইডেন। মিয়ানমারের অর্থসহায়তা কাটছাঁট করতে পারেন তিনি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির জেনারেলদের কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া সেনা পরিচালিত কোম্পানিগুলোর ওপরও বাইডেন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে মানবাধিকারের বিষয়টি ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন বাইডেন। পাশাপাশি মিত্রদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এই অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, তা বাইডেনের জন্য একটি প্রাথমিক পরীক্ষা। অবশ্য বাইডেন তার বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তার প্রশাসন গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে। বিশ্বে যেখানেই গণতন্ত্র আক্রমণের শিকার হবে, সেখানেই গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়াবে তার প্রশাসন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে