আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুঠোফোনের ঘেরাটোপে বন্দি জীবন, ছন্নছাড়া যুব সমাজ। প্রযুক্তির উন্নতি বিশাল ভাবে প্রভাব ফেলেছে মানুষের উপর। অনলাইন গেমসের নেশায় মত্ত তরুণ সমাজ অজান্তেই ডেকে আনছে বিপদ। সম্প্রতি এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনায় তাজ্জব হয়েছেন সকলে। ১৬ বছরের এক কিশোর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনলাইন গেমস খেলায় মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে মারা গিয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই, দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন গেমস খেলায় তার মস্তিষ্কে হ্যামারেজ হয়, আর তাতেই অকালে প্রাণ হারিয়েছে কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরের নাম দর্শন। সে পুদুচেরির ভিল্লিয়ানুরের কাছে ভন মানাভেলি, আনাই থারসা অঞ্চলের বাসিন্দা। ভিল্লিয়ানুরের কাছেই একটি বেসরকারি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
রঙ্গনাথন নামে এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, সোমবার অনলাইন গেম ‘ফায়ার ওয়াল’ খেলার সময় সন্ধে ৭টার দিকে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “কিশোরের মা-বাবার দেওয়া তথ্য অনুসারে, সে সকালে স্কুলের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছিল। বিকেল ৩টের দিকে, তার স্মার্টফোনে সে অনলাইন গেমটি খেলতে শুরু করেছিল। তারপর সন্ধে ৭টার দিকে হঠাৎই সে মাটিতে শুয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরে তার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় অন্য বড় একটি হাসাপাতাল জেআইপিএমইআর-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওখানে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দর্শনকে বাঁচাতে পারেননি।”
চিকিৎসকদের প্রাথমিক নিরীক্ষায় জানা গিয়েছে যে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। রঙ্গনাথন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, সিআরপিসির ১৭৪ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই এই ঘটনাটির বিশদ মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
তবে জেআইপিএমইআর-এর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ভিডিও গেমগুলিকে কেবলমাত্র মৃত্যুর একমাত্র কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। কিশোরের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছিল কি না, সেই বিষয় তদন্ত করার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দিন ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণকে সনাক্ত করা গিয়েছে। সূত্র-নিউজ১৮