আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যখন দেশটিতে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করছে তখন নিজেদের ভেতর যোগাযোগের জন্য অসহযোগ কর্মসূচিতে থাকা তরুণরা ঝুঁকছে বিভিন্ন অফলাইন মেসেজিং অ্যাপের দিকে।
হঠাৎ মিয়ানমারে শুরু হয়েছে নতুন এই হিড়িক! মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ফেসবুক পেজে তাদের এ কর্মসূচিতে এক লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে। অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ ব্রিজফি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তাদের অ্যাপটি ১০ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। দেশজুড়ে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সমাধান হিসাবে দেশটির আন্দোলনকারীরা ব্রিজফি ডাউনলোড করছে। মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে। বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্রসহ ১১ জন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে বদলানো হয়েছে।
মিয়ানমারে নতুন নির্বাচন কমিশন ও পুলিশপ্রধান নিয়োগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রাজধানী নেপিদোতে শতাধিক পার্লামেন্ট সদস্যকে আবাসিক বাসভবনে মঙ্গলবার পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে সেনাবাহিনী। বুধবার তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি ছিল শান্ত। প্রধান শহরগুলোয় সেনাবাহিনীর টহল চলেছে।
তবে বুধবার রাতে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা ঢাকঢোল, গাড়ির হর্ন, থালাবাসন ও হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অমঙ্গল দূর হবে’ বলে স্লোগান দেন।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ‘ক্ষমতা ত্যাগ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানে আটক অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার প্রথম বৈদেশিক নীতির ভাষণে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না যে, গণতন্ত্রে কখনোই জোর করে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ফলাফলকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে ক্ষমতা দখল করেছে তা ছেড়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে।’ সূত্র- রয়টার্স