মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ০৬:৫১:১৯

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ভারত ও সিঙ্গাপুর!

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ভারত ও সিঙ্গাপুর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ওপর ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ভারত ও সিঙ্গাপুর। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।  তিনি বলেন, 'ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা' আরোপ করা হলে দেশটির সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এ কারণে তারা এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।

দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে মুক্তি দিয়ে আলোচনার পথ সুগম করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) সদস্য সিঙ্গাপুর জোটের অপর সদস্য দেশ মিয়ানমারে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

পার্লামেন্টে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ''মিয়ানমারে বিক্ষোভে সহিংসতা, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া এবং বিভিন্ন শহরের সড়কে সেনাবাহিনী ও সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এগুলো খুব উদ্বেগজনক ঘটনা। সর্বোচ্চ সংযম বজায় রাখার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা ব্যবস্থা নেবেন। নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংস আচরণ উচিত নয়। আমাদের আশা, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পারবে।

এদিকে দিল্লীতে সংসদে কংগ্রেস ও বিজেপির দুই সাংসদ মিয়ানমার পরিস্থিতি কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানালেও ভারত সরকার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। শুধু উদ্বেগ জানিয়ে দায় সেরেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াতে ভারত সবসময় সমর্থন দিযে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

তবে মিয়ানমারের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারত মিয়ানমার থেকে ১৫ লাখ টন ডাল আমদানির পাশাপাশি, মিজোরাম ও মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি সেতু নির্মাণের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার এবং ইয়াঙ্গুনের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নির্মাণের প্রস্তাবেরও ঘোষণা করে।

২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৩৩টি ভারতীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ভারতের অনুমোদিত বিনিয়োগের পরিমাণ চীনের সাথে পাল্লা দিয়ে ৭৭১ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং সেনা প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সফরগুলো বেশ সমাদৃত হয়েছিল এবং মিয়ানমার সেনা দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের বিছিন্নবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করে আসছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে