রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১০:০২:২৫

পাকিস্তানে যেভাবে পালিত হয় ভাষা দিবস

পাকিস্তানে যেভাবে পালিত হয় ভাষা দিবস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। একটা ভাষাকে ভালবেসে, সেই ভাষায় কথা বলার, গান করার, ভালবাসার, ক্ষোভ প্রকাশের অধিকার চেয়ে পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিতে দ্বিধা না করা এক আশ্চর্য মিছিল সেদিন হতবাক করে দেয় বিশ্ববাসীকে। সেই মহান একুশের শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বসভায় পেয়েছে অনন্য মর্যাদা। 

জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। কিন্তু ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে যে দেশটির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবার দাবিতে ফুঁসে উঠেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ, সেই পাকিস্তানে কি এই দিনটি পালিত হয়? কীভাবে হয়?

এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই কয়েক বছর আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা। সেই প্রতিবেদনে করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১ ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। কিছু সেমিনার হয়। 

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। প্রভাতফেরীর আয়োজনও দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে। কিন্তু কেন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

কেবল ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারণা রয়েছে তাদের। দেশটির পাঠ্যক্রমেও এ বিষয়ক পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মনির আহমেদ। বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ পাকিস্তানে ৬৫ থেকে ৭২টির মতো বিভিন্ন ভাষার চর্চা রয়েছে বলে জানান এই সাংবাদিক। তবে এই সবগুলো ভাষার সঠিক চর্চা এবং সব গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ নেই দেশটিতে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে