ভারতে হামলার বিষয়ে যা বললেন অামেরিকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছুদিন আগে ভারতরে পশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্তে কাছে পাঠানকোটে শতবছরের প্রাচীন বিমান বাহিনীর ছাউনিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এই জঙ্গি হামলার পেছনে পাকিস্তনের গুপ্তচর সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন আমেরিকা। এই তথ্যটি জানিয়েছেন হোয়ইট হাউসের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ব্রুশ রুডেল। ১৫ বছর আগই তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছের। আমেরিকান সরকারের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন ব্রুশ রুডেল।
আমেরিকার রাজধানী শহর থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রের পাঠানকোট হামলার বিষয়ে একটি কলম লিখেছেন ব্রুশ রেডেল। 'গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংবাদ সূত্র এবং বিশ্বস্ত সূত্রে' তিনি পাঠানকোট বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার পিছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছেন বলে লিখেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রভৃতির মতো জঙ্গি সংগঠনকে আইএসআই নিজেদের বন্ধু মনে করে। ভারত বিরোধী বিভিন্ন কাজে এদের ব্যবহার করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। যদিও, তালেবানদের সঙ্গে খুব একটা সখ্যতা নেই আইএসআইয়ের।
দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার থেকে ব্রুশ রিডেলের দাবি নরেন্দ্র মোদির পাক সফরের কারণেই এই হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের প্রশাসনিক পর্যায়ে ওই দেশের সেনাবাহিনীর প্রভাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা নিয়েও কিছুদিন আগে কথা হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী হিনা রব্বানি। সেই প্রসঙ্গে ব্রুশ রেডেল লিখেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীদের অপছন্দের পাত্র। ১৯৯০ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গঠনের বিষয়ে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর এক দশকের জন্য সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল শরিফকে। তার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর কখনই ভালো চোখে দেখেনি আইএসআই জঙ্গিদের একাংশ। আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে হামলার পিছনেও আইএসআই এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন ব্রুশ রিডেল।
৬ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�