আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিমানুষেরই পছন্দের কিছু খাবার থাকে। আর তাই মনে মনে সে খাবারের একটি তালিও তৈরি করে রাখেন। কখনো যদি পছন্দ সেই খাবারগুলো সামনে আসে তাহলে যেন আর হুস থাকেনা। সেরকম অবস্থা দেখা গেল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষেত্রেও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সবচেয়ে প্রিয় খাবার ঘোল দিয়ে তৈরি এক প্রকার সালাদ যা ‘রেঞ্চ ড্রেসিং’ সালাদ নামে পরিচিত। তবে তার পছন্দের আরোকটি খাবার হল ‘ব্রকলি’। ছেলেবেলায় ব্রকলি খেতে খেতেই নাকি তার প্রিয় খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ এ সবজিটি।
তবে তার পছন্দের তালিকায় আরও কিছু খাবারের নাম রয়েছে, বার্গার ও হটডগের মতো সুস্বাদু ঝটপট খাবার। জানা যায়, সফরে থাকাকালে তিনি নাকি তার পছন্দের খুব কম খাবারই খেতে পারেন এবং পছন্দের খাবারগুলোর মাঝে কোনোটিতেই কোনো প্রকার মেয়োনিজ থাকা চলবে না।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ‘ব্রকলি’ এবং ‘রেঞ্চ ড্রেসিং’য়ের বড় ধরনের ভক্ত। যদিও তার স্ত্রী মিশেল ওবামা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের পক্ষে প্রচারণা প্রায়ই করে থাকেন। বেশ কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসে শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওবামা এভাবে তার প্রিয় খাবারগুলোর কথা বলেন। দ্য গাডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা মুটিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসে শিশুদের নিয়ে ‘হেলদি-রেসিপি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে এক শিশু সাংবাদিক তাকে তার প্রিয় খাবার কি জানতে চাইলে এসব কথা জানান তিনি। তবে ওবামা বলেন, ‘আমার চোখ দিয়ে গুয়াকেমল (টক, কাচাঁ মরিচ, টমেটো এবং রসুন দিয়ে তৈরি সালাদ) বের না হওয়া পর্যন্ত আমি নাকোস খেতে থাকি’। ওবামা আরও জানান, ছোটবেলায় তার পরিবারে যেসব সবজি রান্না করা হতো, এর বেশির ভাগই ছিল সেদ্ধ। তখন থেকে তিনি শিখেছেন স্বাস্থ্যকর খাবার একই সঙ্গে মজাদারও হতে পারে।
শিশুদের উদ্দেশে ওবামা বলেন, ‘তোমরা যদি এখন থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলো, তাহলে সারা জীবনই এর অসাধারণ ফল পাবে।’
তবে ওবামার প্রিয় খাবার ‘ব্রকলি’ বা ‘রেঞ্চ ড্রেসিং’ হলেও তার পূর্বসূরি জর্জ বুশ কিন্তু এসব খাবার একদমই পছন্দ করতেন না। ১৯৯০ সালে তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ‘ব্রকলি’ বা ‘রেঞ্চ ড্রেসিং’ খেতে পছন্দ করি না। তা সত্ত্বেও আমার মা জোর করে আমাকে এ খাবরগুলো খাওয়াতেন। এখন যেহেতু আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছি, তাই আমি আর এসব খাবার খাব না।’