আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে ইস্তাহার প্রকাশ পদ্মশিবিরের। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করেন অমিত। সেখান থেকে পৌঁছান কলকাতায়। ইস্তাহারের পোশাকি নাম 'সোনার বাংলা সঙ্কল্প পত্র'। ইস্তাহারে বাংলার উন্নয়নের বিষয়টি নজর দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি'র দাবি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী রয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে : মহিলা মন পেতে দরাজ প্রতিশ্রুতি পদ্মশিবিরের। ১৮ বছর হলেই মিলবে এককালীন ২ লাখ টাকা। সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের ৩ বছরে প্রাপ্য ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কেজি থেকে এমএ পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা বিনামূল্যে, আশ্বাস বিজেপির।
পরিবহণেও মহিলাদের সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তফসিলি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নিলেই ৫০ হাজার টাকার বন্ড, ঘোষণা বিজেপির। ১৮ বছর বয়সের পরে বিয়ে হলেই ওই শ্রেণির পরিবারের মহিলাদের জন্য ১ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। রাজ্য পুলিশে ৯টি মহিলা ব্যাটেলিয়ন তৈরির আশ্বাস।
রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীতে ৩টি মহিলা ব্যাটালিয়ন। প্রতিটি থানায় মহিলাদের জন্য আলাদা হেল্প ডেস্ক, দায়িত্বে মহিলারাই। 'আত্মনির্ভর মহিলা' প্রকল্পের আওতায় মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। মহিলাদের এককালীন ২০ হাজার টাকা করে ঋণ দেবে সরকার। বিধবা ভাতা মাসিক ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হবে। প্রসূতিদের এখন অনুদান ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার টাকা করা হবে।
স্কুল, কলেজে, বাজারে ৫০ হাজার সেনেটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। ১ টাকাতেই মিলবে সেনেটারি ন্যাপকিন। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে প্রথম মন্ত্রিসভাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাহিষ্য, তিলি-সহ কয়েকটি সম্প্রদায়কে ওবিসি আওতাভুক্ত করা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আওতায় দুর্নীতি বিরোধী সেল তৈরি করা হবে।
রাজ্যের সর্বত্র অন্নপূর্ণা ক্যান্টিনে ৫ টাকায় খাবার মিলবে। রেশনে ১ টাকা কেজি গম, ৩০ টাকা কেজি ডাল, ৩ টাকা কেজি নুন এবং ৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি হবে। ১০০ দিনের কাজ বে়ড়ে ২০০ দিন হবে। প্রতিটি ব্লকে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল। মাহিষ্য, তিলি জনগোষ্ঠীকে অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠীতে নিয়ে আসা।
প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সরকারি বেতনভূকদের জন্য সপ্তন বেতন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত। পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন প্রাথমিকে ১৫,০০০ এবং মাধ্যমিকে ২০,০০০ টাকা। কলকাতায় সোনার বাংলা মিউজিয়াম। ৭৫ লাখ কৃষককে বছরে ১০,০০০ টাকা। কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের না পাওয়া ১৮,০০০ টাকা এককালীন। মৎস্যজীবীদের বছরে ৬,০০০ টাকা করে অনুদান।
উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল ও সুন্দরবনে এইমস-এর ধাঁচে হাসপাতাল। মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক এবং নার্সের আসন দ্বিগুণ করা। প্রতি পরিবারের এক জনের কর্মসংস্থান। শৈলেন মান্নার নামে রাজ্যে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। পুরোহিতদের মাসে ৩,০০০ টাকা অনুদান। ৬০ বছরের উপর বয়স্ক কীর্তন গায়কদের মাসে ৩,০০০ টাকা অনুদান। রাজ্যে ৯টি পর্যটন সার্কিট গঠন।
কলকাতাকে 'ফিউচার সিটি' হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মেট্রো রেল চলবে শ্রীরামপুর, ধূলাগড় ও কল্যাণী পর্যন্ত। ১১ হাজার কোটি টাকায় সোনার বাংলা ফান্ড। বালিকা আলো প্রকল্পে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষার জন্য প্রকল্প। রাজ্যের সব চাকরির জন্য কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট। রাজ্যের জন্য হুইসল ব্লোয়ার আইন। রাজ্যে অটো, গয়না শিল্পের জন্য পার্ক। ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ ছাড়।
পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর তৈরি হবে। সরকারি ভাষা হিসাবে বাংলা ব্যবহারের জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল কোর্স পড়ানো হবে বাংলায়। নয়া পর্যটন নীতি তৈরি করা হবে, ১ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক ফান্ড। রাজ্যে আলাদা করে ৯টি পর্যটন সার্কিট তৈরি করা হবে। সাঁওতাল, ভুমিজ-সহ অন্যান্য উপজাতিদের নিয়ে পৃথক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩৫০ টাকা মজুরি। সূত্র : আনন্দবাজার