আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারির কারণে আয়ের পথ হারিয়ে পথে বসেছেন কত মানুষ। দু’বেলা খাবারই জুটছে না অনেকের ভাগ্যে। অনেক মানুষ আছে খাদ্য সংকটে। দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করা। সেখানে জাপানে এক বেলার খাবার বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার ৬৪৬ টাকায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
এই অফার চালু করেছে জাপানের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ। করোনা মহামারিতে পর্যটন খাতে ধস নামার পর থেকে অলস পড়ে আছে অনেক বিমান। নেই অর্থ উপার্জনের পথ। বিমানবন্দরে অলস পড়ে থাকা বিমানগুলোকে কাজে লাগাতেই রেস্টুরেন্টের আদলে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এক বেলার খাবার বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ ডলারে।
বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে এ কার্যক্রম শুরু করল অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ। টোকিওর হানাডায় বোয়িংয়ের ৭৭৭ মডেলের বিমানকে রেস্টুরেন্টের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে। করোনায় বিমান অলস পড়ে থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার একটি অংশ হিসেবেই এ কার্যক্রম শুরু করেছে এয়ারলাইন্সটি। ফার্স্টক্লাস সিট বিক্রি হচ্ছে ৫৪১ মার্কিন ডলারে। একটু কম দামের খাবার বিক্রি হচ্ছে ২৬৯ ডলারে। পার্ক করা বিমানকে অভিনব উপায়ে কাজে লাগানো আর অর্থ উপার্জনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
মহামারির সময় বিমানবন্দরে অলস পড়ে থাকা বিমান কাজে লাগাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে অনেক এয়ারলাইন্স। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছে। অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে চাঙা করতে ১২০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুথে পড়েছে বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো। ২০২০ সালের প্রায় পুরোটাই মহামারির কারণে অলস পড়ে ছিল যাত্রীবাহী বিমানগুলো। করোনার প্রকোপ কমে কিছুটা ঘুড়ে দাঁড়াতে শুরু করলেও আবারো করোনার প্রকোপ বাড়ায় থমকে যাচ্ছে সব। বিমানগুলোতে অনেক এয়ারলাইন্সই রেস্টুরেন্টের আদলে পরিচালনা করার দেয়ার কাজ করছে।
গত বছরের অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরে বিমান এয়ারবাসের এ ৩৮০’তে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের। ৩৮০ ইউরোর এ খাবার সারা ফেলেছিল অনেক।