আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এক বিতর্কিত ঘটনা। অসুস্থ এক ব্যক্তিকে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ দিয়ে ‘মৃতদেহ’ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাঁদতে কাঁদতে সেই দেহ নিয়ে শ্মশানে পৌঁছেও গিয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেল চিত্র!
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাটনার বাসিন্দা চুন্নু কুমার। বছর ৪০-এর কাছাকাছি। মাথায় রক্তক্ষরণের কারণে শুক্রবার তাঁকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
চুন্নু কুমারের ভাই ব্রিজ বিহারির দাবি, শনিবার পর্যন্ত তাঁরা জানতেন ভাই ভালোই আছেন। তিনি বলেন, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ভাই মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কালো প্যাকেটে মোড়ানো দেহ আমাদের হাতে তুলে দেয়। আমাদের মুখ দেখেত দেওয়া হয়নি। দেহ নিয়ে গ্রামে যেতেও নিষেধ করা হয়।
এদিকে, শেষকৃত্যের আগে মৃতদেহের উচ্চতা নিয়ে সন্দেহ হয় চুন্নু কুমারের স্ত্রীর। ‘স্বামী’র মুখ দেখতে চান কবিতা দেবী। প্লাস্টিক খুলে মুখ দেখার পরেই সকলে হতভম্ব হয়ে পড়েন। সেই মৃতদেহ চুন্নু কুমারের ছিল না। এরপরই তড়িঘড়ি পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ছোটেন সবাই। ডেথ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে হট্টগোল বাধিয়ে দেন। পরে ব্রিজ বিহারি কভিড ওয়ার্ডে গিয়ে দেখেন, দাদা চুন্নু কুমার বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এমনকি আগের চেয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, খবর পেয়ে সোমবারই পাটনা মেডিক্যাল কলেজে যান স্বাস্থ্য সচিব প্রত্যয় অমৃত। সেদিনই হাসপাতালের হেলথ ম্যানেজারকে সাসপেন্ড করা হয়। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিং।
পাটনা মেডিক্যালের সুপার আই.এস. ঠাকুর জানান, তদন্তে আর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: নিউজ এইটিন।