‘মানুষ লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে আছে’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এবং লেবানন সীমান্তের মাত্র ১১ কিলোমিটার দূর অবস্থিত মাদায়া শহরটি বেশ কয়েক মাস ধরেই সরকারি বাহিনী এবং তাদের মিত্র, হিজবুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণে। মানুষ সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এই শহরের পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ যে মানুষ সেখানে খাবারের অভাবে না খেয়ে মারা যাচ্ছে। অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য ঘাস, লতা-পাতা খাচ্ছে। অনেকেই না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। খবর-বিবিসি
জাতিসংঘ বলছে সিরিয়ার মাদায়া শহরে মানবিক সহায়তা সরবরাহে সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার। মাদায়ার একজন বাসিন্দা জানান, না খেতে পেরে দুজন লোক বৃহস্পতিবার সেখানে মারা গেছে।
আব্দেল ওয়াহাব আহমেদ নামের ওই বাসিন্দা আরও জানাচ্ছেন সরকারী বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ওই শহরটিতে অবরোধ আরোপের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন মানুষ মারা গেছে।
“দুশো দিন ধরে মাদায়া অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আজ দুজন মারা গেছে। এখানকার লোকজন এখন মাটি-ঘাস-গাছের পাতা খাচ্ছে কারণ খাবার আর কিছু নাই। শীতের কারণে পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ঘাস-পাতাও শুকিয়ে যাচ্ছে”।
যদিও সেখানকার কত মানুষ না খেতে পেয়ে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানা যাচ্ছেনা তবে মেদসাঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে বলছে ডিসেম্বর মাসে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা অভুক্ত মানুষদের মধ্যে ২৩ জনই মারা গেছে।
জাতিসংঘ বলছে সিরিয়ার সরকার যেহেতু মাদায়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে রাজী হয়েছে, সুতরাং কোন ঝামেলা না হলে সোমবারের মধ্যে সেখানে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে ট্রাক পৌঁছাতে পারবে।
সেভ দা চিলড্রেন জানাচ্ছে মাদায়ায় যদি জরুরী ভিত্তিতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী, জ্বালানীসহ জরুরী সামগ্রী পৌঁছানো না যায় তাহলে আরও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে সামনে।
সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালের অবস্থা যে কতটা শোচনীয় মি: আহমেদের বর্ণনায় তা স্পষ্ট প্রকাশ পায়।
“হাসপাতালে এখন দেড়শোরো বেশি মানুষ অচেতন অবস্থায় আছে। অবরোধ আরোপের পর থেকে শহরটিতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ কমে গেছে। কোনও ওষুধা নাই এখন, কোন বেডও খালি নাই এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও নাই। একদিনের জন্য যেন অবরোধ তুলে নেয়া হয় আমরা এটিই চাই”।
৮ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের/রাসেল
�