বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০:৩৪

লকডাউন থেকে ভারতকে বাঁচাতে বললেন নরেন্দ্র মোদি

লকডাউন থেকে ভারতকে বাঁচাতে বললেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে একাধিক রাজ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারও একই পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, লকডাউন থেকেই দেশকে বাঁচাতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য ওয়াল এখবর জানিয়েছে।

করোনায় মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে ভারত। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ ৮০ হাজার ৫৫০। এর মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে সোমবার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে দুই লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার কম।

মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, লকডাউন এখন কোনও বিকল্প নয়। মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটি বিষয়ের কথাই মাথায় রাখতে হবে। লকডাউন থেকে দেশকে বাঁচাতেই হবে। রাজ্য সরকারগুলোকে বলব লকডাউনকে তারা যেন শেষ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেন। বরং অগ্রাধিকার দিতে হবে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করে কোভিড মোকাবিলায়।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই যদি কোভিড প্রটোকল মেনে চলি, সহিষ্ণুতা ও সংযম বজায় রাখি, বিনা কারণে বাড়ি থেকে বের না হই, তাহলে লকডাউনের প্রশ্নই নেই। আমি আমার তরুণ বন্ধুদের বলব তারা যেন এই ব্যাপারটা সামাজিক মিশনের মতো গ্রহণ করেন। পরিবারের সদস্যদের পরিজনদের তারা যেন বোঝান যে বিনা কাজে, বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন বাড়ির বাইরে না যায়।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যে একেবারে ঝড়ের মতো আছড়ে পড়েছে তা স্বীকার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বলেছেন, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। অযথা যাতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে হ্যাঁ, মানুষকে আরও সতর্ক আরও সচেতন হতে হবে। রাম নবমী আসছে, রমজান মাস চলছে। রাম নবমীতে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেনে সংযম রাখতে হবে। রমজানও সহিষ্ণুতা ও সংযমের কথাই বলে।

মোদি ভাষণে উল্লেখ করেছেন, কোভিড মোকাবিলা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়। কেবল কেন্দ্রের সরকারেরও নয়। এখানে রাজ্য সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সমাজের প্রতিটি মানুষের অংশীদারিত্ব রয়েছে। প্রত্যেকে তার নিজের অংশটুকু দায়িত্বের সঙ্গে পালন করতে পারলে এই ঝড়ও কেটে যাবে।

মোদি বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের ওয়ার্কফোর্স তথা কর্ম-বাহিনীর কথা মাথায় রেখেই তা করা হয়েছে। যাতে কাজের ক্ষতি না হয়। মানুষের জীবন ও জীবিকা কোনওটাই বিপন্ন না হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে