শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৪০:৩৭

লাঠি হাতে গ্রাম পাহারায় নারীরা, ঢুকতে পারেনি করোনা!

লাঠি হাতে গ্রাম পাহারায় নারীরা, ঢুকতে পারেনি করোনা!

মহামারি করোনা ভাইরাসে মানুষের মৃত্যুর ঢল নেমেছে ভারতে। দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। ভারতের প্রত্যেক জেলা এমনকি গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। বলতে গেলে করোনা সামলাতে দিশেহারা হয়ে পরেছে ভারত। 

করোনায় পুরো ভারতের চিত্র যেখানে প্রায় একই রকম সেখানে ব্যক্তিক্রম।মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার অন্তর্গত চিলাখার গ্রাম। এখন পর্যন্ত একজনও করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হননি এই গ্রামে। গ্রামবাসী বলছেন, করোনাকে মূলত ঠেকিয়ে দিয়েছেন একদল নারী পাহারাদার। তারা মূলত লাঠি হাতেই দিনরাত পাহাড়া বসিয়ে গ্রামটিকে করোনা মুক্ত রেখেছেন। তাদের এমন ভূমিকার কথা ভারতীয় গণমাধ্যমে এখন হট টপিক। 

এই চিখালার গ্রাম ‘দেশি মদ’ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রামটি। মহামারি ছোট্ট এই গ্রামটি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছে কঠোরভাবে। বাইরের গ্রামের কাউকে ঢুকতে যেমন দেয়া হয়নি ,বলতে গেলে তেমন নিজেরাও বাইরে যাচ্ছেন না তারা।

২০০৯ সালের ভারতের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এই গ্রামে মোট ৮৭টি পরিবারের বাস। জনসংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৭৬। গ্রামে ২৪০ জন নারী ও ২৩৬ জন পুরুষ। গ্রামবাসীরা বলছেন, পুরুষদের কথা কেউ শোনে না, তাই নারীদের লাঠি হাতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে নারীদের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে সবাই বাধ্য ছিল। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়ার জন্য গ্রামের মহিলারা দু’জন যুবককে নিয়োগ করেছেন। ওই দু’জনই গ্রামের বাইরে গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করে সেগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন।

এই গ্রামটি প্রবেশের মূল রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা। নিজেরাই সময় ভাগ করে দিনে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেন নারীরা। অকারণে কাউকে বাইরে ঘুরতে দেখলে লাঠির ঘায়ে তাদের বাড়ি পাঠাতেও এক মিনিটও দেরি করেন তারা। ভারতের গ্রামটির এই গল্প এখন ভারতীয় গণমাধ্যমের হট টপিক। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দকরোনা ঠেকাতে ওই গ্রামের নারীদের এই উদ্যোগ উদাহরণ তৈরি করেছে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে