শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১, ০৯:০৮:০৩

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মুক্ত করেই ছাড়ব, ইনশাল্লাহ্: এরদোগান

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মুক্ত করেই ছাড়ব, ইনশাল্লাহ্: এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মুক্ত করেই ছাড়ব, ইনশাল্লাহ্। ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামে সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শুক্রবার ইস্তাম্বুলে উত্তর মারমারায় সড়কের নতুন বর্ধিত অংশের উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই কথা জানান তিনি।

এরদোগান বলেন, ইসরাইলি দখলদারিত্ব শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনের মানচিত্র ছোট হয়ে আসছে। তিনি বলেন, 'সারাবিশ্বের জানা উচিত ইসরাইল কী ধরনের সন্ত্রাস রাষ্ট্র।'

বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ফিলিস্তিন বিষয়ে বৈঠককে 'সফল অধিবেশন' হিসেবে উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সম্মেলনে ১৯৪৭ সাল থেকে ফিলিস্তিন কীভাবে ইসরাইলের দখলদারিত্বে চলে এসেছে এবং আজকের ছোট্ট ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে, সেই আলোচনা উঠে এসেছে।

অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের
মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।

মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ' গাজাবাসী।

গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে