 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
ইসরাইল যাতে গাজা সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেতে পারে, সেজন্য বিশেষ কৌশল গ্রহণ করেছে উপত্যকাটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। শনিবার তারা ফিলিস্তিনিদের বলে দিয়েছে, ১১ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরাইল যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে তারা যেন কোনো কথা না বলে।
হামাস ইন্টারনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (আইএসএ) এক বার্তায় সতর্কতার মাত্রা বাড়ানোর জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আইএসএ জানায়, ইসরাইলি আগ্রাসনের সময়কার ঘটনা, বিশেষ করে যেসব স্থানকে তারা টার্গেট করেছিল, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য সরবরাহ না করা এবং ওইসব স্থান নিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না বলাই উচিত।
আইএসএ দাবি করেছে, ইসরাইল তার টার্গেট সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করেছে। তারা প্রতিরোধ আন্দোলন ও এর চলাচল সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।
হামাস সিকিউরিটি এজেন্সি আরো জানায়, সহায়তা প্রদান বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশেও সন্দেহজনক নানা পক্ষ আসতে পারে। তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানায়, ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের টানেল ও অস্ত্র গুদামের যে ক্ষতি হয়েছে, তা লুকানোর চেষ্টায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রটি জানায়, ইসরাইলি হামলায় আইএসএর সদরদফতরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
আরেকটি সূত্র জানায়, হামাস শিগগিরই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সময়ে ইসরাইলের দালালি করেছে, এমন কয়েকজনকে গ্রেফতার করবে। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বোজাম বলেছেন, দালাল ও দখলদারদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে হামাস কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির পর হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী আবার মোতায়েন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের লোকজনকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছি। আমরা আমাদের দায়িত্ব কখনো ত্যাগ করব না। আমরা আত্মত্যাগের জন্য প্রসউতত। আমরা শহিদদের রক্তের প্রতি অনুগত থাকব। সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট