যে কারণে গুড়িয়ে দেয়া হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার মূর্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার মূর্তি নিয়ে সারা বিশ্ব আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছে। নানা কারণে সমালোচনার মুখে মূর্তিটি নির্মাণ শেষ হওয়ার মাত্র দু'দিনের মাথায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো চীনের অবিসংবাদিত নেতা ও সাবেক শাসক মাও সে তুংয়ের স্বর্ণ মূর্তি।
দেশটির হেনান প্রদেশের কৃষিজমিতে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ডলার ব্যয়ে ১২০ ফুট উঁচু এই মূর্তিটি নির্মাণ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দু'দিন আগে মুর্তিটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্ব গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ পায়। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি জানিয়েছে হেনান প্রদেশে নির্মানাধীন মাওয়ের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
কমিউনিস্ট নেতা মাও বুর্জোয়া পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, পুঁজিপতিদের অর্থে তারই ভাস্কর্য নির্মাণের ঘটনাকে অনেকে ভিন্নমাত্রায় দেখতে চান।
আবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর হেনান প্রদেশে দুর্ভিক্ষে চার কোটি কৃষকের মৃত্যুর খবর প্রচলিত রয়েছে। সেই একই জায়গায় মাওয়ের মুর্তি নির্মাণকে কেউ কেউ প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেন। শেষ পর্যন্ত চীনা কর্তৃপক্ষ বিতর্ক অবসানের দায়িত্ব নেয় এবং এটি ভেঙে ফেলে।
মূর্তিটি যে গ্রােম স্থাপন করা হয়েছিলো সেখানকার এক কর্মকর্তা জানান, মাওয়ের মূর্তিটি নিবন্ধিত ছিলো না। তাছাড়া এটি অনুমোদনও পায়নি। এ কারণেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট তংজু কাউন্টির ভূমি কর্মকর্তারাও মূর্তি প্রত্যাহারের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে এটি ঠিক কী কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা তারা জানাতে পারেননি।
মূর্তি অপসারণের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এতে ভাস্কর্যের দুই পা ভাঙা ও কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে রাখতে দেখা যায়। তবে ছবিটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গ্রামের কৃষকরা জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই সময়ে মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে এখন শুধু ধ্বংসস্তুপের গাদা রয়েছে। তাদের ধারণা প্রাদেশিক প্রশাসনের নির্দেশেই এটি ভাঙা হয়েছে।
একজন কৃষক পিপলস ডেইলিকে জানান, তিনি প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসে ভাস্কর্য ভাঙার কারণ জানতে টেলিফোনে অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো দিক থেকেই তিনি কোনো সাড়া পাননি।
১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চীনের সর্বেসর্বা ছিলেন মাও সে তুং।
০৯ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�