বাছুর নিয়ে ডিসির কার্যালয়ে, উৎসুক জনতার ভিড়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক মাস আগে হাইলাকান্দির আদালতে হাজির হয়েছিল হাতি। এ বার ভারতের জেলাপ্রশাসকের দপ্তরের দরজায় পৌঁছল সদ্যেজাত বাছুর! শুক্রবার এমনই কাণ্ড ঘটে ভারতের হাইলাকান্দিতে।
ডিসি মলয় বরার কাছে বাছুর আসার গল্প ছড়াতে ভিড় জমে তার দপ্তরের আশপাশে। পরিস্থিতি সামলাতে অন্য কাজ ফেলে সেখানে যান অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক এফ আর লস্কর। বাছুরের মালিক আফতাবউদ্দিনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন তিনিই।
আফতাব জানান, ‘এক দিন আগে বাছুরটি জন্মেছে। মায়ের দুধ খাচ্ছে ঠিকঠাক। হাঁটতে-চলতেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কিছুতেই মলত্যাগ করতে পারছে না সেটি।’
প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য পান্না বড়ভুঁইঞার পরামর্শে আফতাব বাছুরটিকে তাই এ দিন নিয়ে এসেছিলেন হাইলাকান্দি শহরের জেলা পশু চিকিৎসালয়ে। কিন্তু সেখানে কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।
আফতাবের বলেন, ‘ওখানকার এক কর্মী আমাকে বাছুর নিয়ে জেলাপ্রশাসকের কাছে যেতে বলেন। তাই আমি এখানে এসেছি।’
তার দপ্তরে বাছুর নিয়ে আসার খবর জেনে আফতাবকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান ডিসি মলয়। ডিসির ডাক পেয়ে সেখানে যান জেলার পশু চিকিৎসা আধিকারিক রসিদ আহমেদও। তিনি বাছুরটিকে শিলচরে পাঠানোর পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার প্রত্রিকা।
জেলা চিকিৎসা আধিকারিক পরে বলেন, ‘প্রসবের সময় কোনো কারণে এই সমস্যা হয়েছে। এ সমস্যা সমাধান করতে অস্ত্রোপচার করতে হবে।’
জেলা পশু চিকিৎসা হাসপাতালে চিকিৎসক, কর্মীদের গরহাজির থাকার প্রসঙ্গে তিনি জানান, এনআরসির কাজে ব্যস্ত থাকায় অনেকে সেখানে কাজে যেতে পারছেন না। এ দিন সবে কাজ শুরু হয়েছিল হাইলাকান্দির জেলাপ্রশাসক দপ্তরে। চার দিকে তুমুল ব্যস্ততা।
হঠাৎ দপ্তরের দোতলায় জেলাপ্রশাসকের ঘরের সামনে বাছুর কোলে হাজির হন আফতাব। নিরাপত্তাকর্মীরা হতবাক হয়ে যান। কী ভাবে বাছুর নিয়ে কেউ ডিসির ঘরের সামনে পৌঁছে গেলেন— সেই প্রশ্ন ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে।
খবর পেয়ে লোক জড়ো হয়ে যায় সেখানে। ভিড় সামলাতে হিমসিম হয় পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর বাছুর নিয়ে ফেরার পথ ধরেন আফতাব।
আলোচনা কিন্তু তাতে থেমে যায়নি। আদালতে হাতি পেশ করার গল্পের সঙ্গে জুড়ে যায় আফতাবের বাছুরের কাহিনিও। তাতেই দিনভর মশগুল থাকল গোটা শহর।
০৯ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�