ক্যারিবীয় দেশ হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর রাতে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বেসরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যাকারীদের কেউ কেউ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেছে। হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্টলেডিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লাগাতার অস্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক বিভাজন, প্রাকৃতিক দুযোর্গ-দুর্বিপাক ও মানবিক সংকটে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্যতম গরিব দেশে পরিণত হয়েছে হাইতি। দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়তে থাকার মধ্যে প্রেসিডেন্ট খুনের এ ঘটনা ঘটল।
হাইতির বিরোধী দল বলছে, পূর্বসূরী মার্টেলি পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। সে হিসেবে মোইসের ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদকাল ২০২১ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মোইস জোর দিয়ে বলেন, তিনি যেহেতু ২০১৭ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেন তাই আরও এক বছর ক্ষমতায় থাকতে চান।
তার বাড়তি এক বছর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যে ছিল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ। ২০১৫ সালের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে দিয়ে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান দেওয়া হয়েছিল, যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন মোইস।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিরোধীরা যখন তার পদত্যাগের দাবি জানায়, তখন মোইস বলেছিলেন তার সরকারকে উৎখাত করার এবং তাকে হত্যা করার জন্য সংঘটিত অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে।
দেশটির অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের দূতাবাস বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে ডোমিনিকান রিপাবলিক বলেছে, তারা হাইতির সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।