আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধরা খেল ভাবী-ননদ। বৌদির হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে কারাগারে জায়গা হলো দুজনের। বৌদির নামেই উত্তরপত্রে সই করে রীতিমত পরীক্ষা দেন ‘সাহসিনী’ ননদ৷ কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না তার৷
পরীক্ষার হলেই হাতে-নাতে ধরা পড়ে গেলেন তিনি৷ বৌদির জন্য অবশেষে শ্রীঘরেই গেলেন ননদ৷ শনিবার এমনই ঘটনা ঘটলো ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় রবীন্দ্রমুক্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। নির্বিঘ্নে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্কুল চত্বরে বহিরাগত প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
পরীক্ষায় নকল বা গণ টোকাটুকি বন্ধ করতেও একগুচ্ছ সতর্কতা অবলম্বনও করা হয়। অন্যান্য দিনের মতো এদিন বালুরঘাট হাইস্কুল কেন্দ্রে ভূগোল পরীক্ষা চলছিল৷
অভিযোগ, স্থানীয় বেলতলা পার্ক এলাকায় বাসিন্দা পরীক্ষার্থী শংকরী মণ্ডল সরকার নিজে পরীক্ষা না দিয়ে তার বদলে ননদ হৈমন্তী রায়কে পরীক্ষা দিতে পাঠান৷ পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় পর হৈমন্তী রায়ের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পরীক্ষকের।
এরপর তাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেন পরীক্ষকরা৷ জিঞ্জাসাবাদের পর ওই পরীক্ষার্থী স্বীকার করেন, তিনি অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ এরপরই স্কুল চত্বরের বাইরে অপেক্ষারত ‘আসল’ পরীক্ষার্থী শংকরী মণ্ডল সরকারকে ডেকে আনা হয়।
স্কুল-কর্তৃপক্ষ দুজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ বালুরঘাট পৌরসভার রবীন্দ্রমুক্ত বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিদর্শক নমিতানন্দা মিশ্রের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শংকরী মণ্ডল সরকার ও তার ননদ হৈমন্তী রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
৯ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম