বাহিরে প্রেমিকার ছটফটানি ও কান্না আর ভেতরে বিয়ে হচ্ছে প্রতারক প্রেমিকের। এমন একটি ঘটনা ভারতের, মধ্যপ্রদেশের হোশঙ্গাবাদ এলাকায়। আনন্দবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে, সেখানকার কোঠী বাজারের কামাখ্যা গার্ডেনে সম্প্রতি একটি বিয়ের আয়োজন হয়েছিলো।
অতিথিরা আসছেন একে একে। হঠাৎ করে সেখানে হাজির এক তরুণী। ‘বাবু’, ‘বাবু’ বলে কাতর স্বরে ডাকছিলেন তিনি, চেষ্টা করছিলেন ক্লাবের ভেতরে যাওয়ার। মূল ফটক টপকে ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জন ব্যক্তি তরুণীকে ঠেলে বের করে দেন, বন্ধ করে দেন ফটক।
যতোদূর জানা গেছে, বাবু সেই ছেলেটির নাম ভেতরে যার বিয়ে হচ্ছে। আর উদভ্রান্তের মতো সেখানে ছুটে আসা তরুণী তার গার্লফ্রেন্ড। চার বছর আগে পরিচয়ের শুরুতে দুজনে ছিলেন বন্ধু। দিন যায়, মাস যায়- বছরের মাথায় সম্পর্ক গড়িয়ে যায় প্রেমে। তারপর একটানা তিন বছর একসাথে ছিলেন, এক ছাদের নিচে।
নাম না জানা তরুণী যখন জানলেন, বাবু আর কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছে, তখন আর ফেরানোর উপায় নেই। বাবু বসে গেছে বিয়ের মণ্ডপে। তবুও সেই তরুণী ভেবেছিলেন, তার কাতর বেদনাহত চেহারা দেখে হয়তো বাবুর মন ফিরবে। কিন্তু তার আশা পূরণ হলো না। ঢুকতেই দেয়া হলো না বিয়ের মণ্ডপে। কতোবার করে অনুরোধ করলেন, একটি বার বাবুকে ডেকে দিন, কেউ শুনলো না।
সেখানে উপস্থিত কেউ একজন ক্রন্দসী তরুণীর হাহাকার ভিডিও করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ঘটনাটি আলোড়ন তোলে, ভিড় জমান অনেক মানুষ। তখন বাবুর পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়, তরুণীকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তরুণী থানার কর্তাদের বলেন, বাবু অন্য কাউকে বিয়ে করছে, এতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু এতোদিনের সঙ্গীকে না জানিয়ে কেনো কাজটা করলো, এটাই আক্ষেপ।
পুলিশ তাকে বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলো, তরুণী তাতে রাজি হননি। ভালোবাসার মানুষকে থানাপুলিশের ঝামেলায় ফেলতে পারবো না, সাফ জবাব তার।