আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টোকিও থেকে ভারতীয় সময় সকাল ৮টায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উড্ডয়নের সব ঠিকঠাক ছিল৷ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেটির দিল্লিতে অবতরণ করার কথা৷ বহুদিন পর দেশে ফেরার আনন্দে বিভোর দম্পতি৷ কিন্ত্ত বিকেল চারটার দিকে সন্তানসম্ভবা সীমা সাহু হঠাত্ই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ দ্রুত খবর যায় পাইলটের কাছে৷ মাঝআকাশে জানা যায়, কাছেই কলকাতা৷
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
সীমার প্রসব ব্যথা দেখে তার শ'দেড়েক সহযাত্রী তখন দ্রুত বিমান নামানোর জন্য তাড়া দিচ্ছেন পাইলটকে৷ নতুন অতিথির খবরে পাইলটও তড়িঘড়ি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতায় বিকেল সাড়ে চারটায় বিমানটি অবতরণ করেন৷ দ্রুত সীমাকে নামিয়ে আনা হলো, সঙ্গে স্বামী মনোরঞ্জন৷ বিমানবন্দরের অ্যাম্বুলেন্স ছুটলো নিউটাউন লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালের দিকে৷
দ্রুত সীমাকে ভর্তি করা হলো হাসপাতালে৷ চিকিত্সকরা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তার৷ এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে তার অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো হতে পারে৷ দ্রুত তাকে হাসপাতালে আনায় প্রাণ সংশয় ঠেকানো গেছে।
বছর ত্রিশের সন্তানসম্ভবা তরুণী বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সহযাত্রীরা৷ রাতে সীমার স্বামী মনোরঞ্জন বলেন, বিমানের মধ্যেই দু'জন মহিলা যাত্রী ও বিমান সেবিকারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না৷
মাঝআকাশে অচেনা অজানা ওই যাত্রীরা উদ্যোগ না নিলে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেতেন কি না তা নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বে জাপানে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এ যুবক৷
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতিকে কলকাতায় নামানোর পাশাপাশি বিমানে থাকা প্রায় সাড়ে ছশ' ব্যাগের মধ্যে থেকে তাদের ব্যাগপত্রগুলো বের করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অন্য যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি দিল্লি উড়ে যায়৷
১০ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম