আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ৪ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করে। পরীক্ষার নামে এই হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরনের কারণে উত্তর কোরিয়া এবং চীনসহ অনেক দেশেই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। গত ৬ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমেরিকার পরমাণু যুদ্ধের হুমকির মোকাবেলায় নিজেদের রক্ষা করতেই এই হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালাই। আমেরিকা সবার ওপর খবরদারি চালচ্ছে, আর তা আমরা বসে বসে দেখবো এটা কখনো হতে পারেনা।’
উত্তর কোরিয়া এই হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর পর পরই বিশ্বব্যাপী এর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠতে থাকে। উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশি রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। তার ফলে আগের সেই ফরমূলা আবার শুরু কের দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই ফরমূলাটি হলো দুই দেশের সীমান্তে লাউডস্পিকার চালিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতি অপপ্রচারমূলক সম্প্রচার শুরু করে নিন্দা জানানো।
হাইড্রোজেন বোমার সফল বিস্ফােরণ ঘটানোর পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার গণবাহিনীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যান এবং বিস্ফোরণের সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিন্দন জানান। কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদীদের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি থেকে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেই এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে কিম মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, উত্তর কোরিয়া যখন হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা শেষ করে, তখনি দক্ষিন কোরিয়ার সাথে আমেরিকা সুসম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চালানো শুরু করে। সে কারণেই আজ রোববার দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বি-৫২ বোমারু বিমান উপহার দিচ্ছে আমেরিকা।
১০ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই