ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, অ'স্ত্র আর মার্কিন ব্ল্যাক হা'ওয়াক হেলিকপ্টারে তলেবানের মহড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় হোয়াইট হাউস বিব্র'ত অবস্থায় পড়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, প্রতিটা র'ণ সরঞ্জাম কোথায় রয়েছে সেই ব্যাপারে আমাদের সঠিক ধারণা নেই। তবে বেশ বড় একটা অংশ তালেবানের ক'ব্জায় চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর খুব দ্রুতগতিতে দেশটির দখল নেয় তালেবান। গত দুই দশক ধরে আফগান সেনাদের বিভিন্ন মার্কিন র'ণ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সব অ'স্ত্রই তালেবানের হাতে পড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তালেবান যোদ্ধাদের এমফোর আর এমএইনটিন অ্যা'স'ল্ট রা'ইফে'ল হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে। অনেক মার্কিন হামভি গাড়িও তালেবানের দ'খলে বলে জানা গেছে। একটি ভিডিওতে তালেবান যো'দ্ধাদের মার্কিন বাহিনীর বিশেষ সাম'রিক পোশাকও পরতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আফগান সেনাবাহিনীকে সাম্প্রাতিক বছরগুলোতে সাত হাজার মেশিন গান, চার হাজার ৭শ’ হামভি গাড়ি আর ২০ হাজার গ্রে'নে'ড সরবরাহ করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আফগান সেনাবাহিনীকে আ'র্টিলা'রি, ড্রো'ন, হেলিকপ্টারসহ দুইশ’র বেশি এয়ারক্রাফট দেওয়া হয়েছে।
আফগান সেনাবাহিনীর কাছে সরবরাহ করা এসব রণ সামগ্রী তালেবানের হাতে পড়ায় তা যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথায় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, এই ই'স্যু'তে পেন্টাগন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এমন কারো হাতে আমাদের র'ণ সরঞ্জাম দেখতে চাই না যারা আমাদের কিংবা আফগান জনগণের স্বার্থের বিরু'দ্ধে কাজ করে।
এসব অ'স্ত্র ধ্বং'সসহ অনেক ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। এদিকে, এসব র'ণসরঞ্জাম বিশেষ ক্ষেত্রে তালেবানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে বলে আশ'ঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।