আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণধ'র্ষণের পর কিশোরীর যৌ’নাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধারালো অস্ত্র। সংকটজনক অবস্থায় কিশোরী ভর্তি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তার অবস্থা যথেষ্ট আশ’ঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। এদিকে, এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনও কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।
বৃহস্পতিবার নাবালিকার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি প্রতিনিধিদল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী নেতারা। কিশোরীর পরিজনদের দাবি, ১৪ বছরের ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। ভালভাবেও কথাও বলতে পারে না। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরপর পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। সেই অনুযায়ী খোঁজখবর শুরু হয়। রাত ৯টা নাগাদ কিশোরীকে বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে তিজারা ফটকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিশোরীকে উদ্ধারের সময় চতুর্দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। যৌ’নাঙ্গে গুরুতর আঘা'তও ছিল তার। তড়িঘড়ি কিশোরীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশ’ঙ্কাজনক হওয়ায় বুধবার রাতে জয়পুরের জেকে লোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় তার। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ শুক্লা জানান, কিশোরীকে ধ’র্ষ’ণ করা হয়েছে, সে প্রমাণ স্পষ্ট। তার যৌ’নাঙ্গে যে গুরুতর আঘা’ত করা হয়েছে মিলেছে সে প্রমাণও। বর্তমানে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশ’ঙ্কাজনক।