শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৫:৪৪:৫৬

‘আমার মাকে এনে দাও’

 ‘আমার মাকে এনে দাও’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিদিনের মতো সেদিনও স্কুলের পথে সে।  পিঠে স্কুলব্যাগ, পরনে ইউনিফর্ম।  গুটিগুটি পায়ে চলেছে তার নার্সারির দিকে।
 ফোব কি প্রকৃতপক্ষে টের পেয়েছে যে সে কী হারিয়েছে?
তার মা আর ফিরবে না।

তিন বছরের ‘ব্রেভ’ ফোবকে অভিনন্দন জানিয়ে ঝড় ওঠে পোস্টে।

ইবেলার এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।

এমন অবস্থায় তিন বছরের ফোব রুশটনকে আবিস্কার করেন জনৈক পুলিশ সদস্যের।  তিনি তখন ছিলেন অফ-ডিউটিতে।  স্ত্রীর সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন।  ব্যস্ত লন্ডনের রাস্তায় তিন বছরের এক বাচ্চাকে ফুটপাত ধরে হাঁটতে দেখে সন্দেহ হয় ওই পুলিশ সদস্যের।

ফোবের পথ আটকে দাঁড়ান তিনি।  তাকে দেখেই খুদে ফোব বলে ওঠে, ‘আমি নার্সারিতে যাচ্ছি।  মা নেই।  মাকে আমি ঘুম থেকে তুলতে পারিনি।’

পুলিশ সদস্য এবং তার স্ত্রী ফোবকে তার বাড়ি নিয়ে আসেন।  বাড়িতে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার মা নিকোলা রুশটন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিছানাতেই।  

ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।  মাকে ‘ঘুম’ থেকে তুলতে না পেরে ফোব একা একাই তৈরি হয় স্কুলে যাওয়ার জন্য।  একাই হেঁটে যায় তার নার্সারির দিকে।

পোস্টে ঘটনা খবর আসার পেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। তিন বছরের ‘ব্রেভ’ ফোব।  অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টের ঝড় ওঠে।  কিন্তু ফোব কি প্রকৃতপক্ষে টের পেয়েছে সে কী হারিয়েছে?

অবশ্য একটা কথা কেউ উল্লেখ করেননি।  প্রয়াত নিকোল এক অসামান্য মা। কারণ ফোবকে যে তিনিই তৈরি করেছেন!
১৫ জানুয়ারি,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে