আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনতলা থেকে পড়েও বেঁচে গেল ১৪ মাসের এক শিশু। ঘটনাটি ব্রাজিলের সিয়েরা রাজ্যের ফোর্টালেজা শহরে। শিশুটির পরিবার একে এটা অলৌকিক ঘটনা হিসেবেই দেখছে। এত উঁচু থেকে পড়ে কোনো প্রপ্তবয়স্ক মানুষেরও বাঁচার কথা নয়।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, সেদিন ১৪ মাসের হেলেনাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে তার মা গিয়েছিলেন সংসারের কাজে। এসময় শিশুটি ঘুমাচ্ছিল জানালার পাশের খাটে। ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে জানালার কাছে চলে আসে। গরাদবিহীন জানালা দিয়ে সে সোজা নিচে পড়ে যায়।
কিন্তু শিশুটির অবস্থা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা অবাক। রাস্তায় পড়ে থাকার বদলে আস্তে আস্তে উঠতে শুরু করে সে। একপর্যায়ে সে নিজের পায়ে ভর দিয়ে ওঠে দাঁড়ায়। এসময় এক ট্যাক্সিচালক এসে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন।
আশপাশে তিনি তাকিয়ে দেখেন, কাউকেই তো দেখা যাচ্ছে না। কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। এরই মধ্যে তার চারপাশে লোক জমা হয়ে যায়।
হেলেনা যে পড়ে গেছে তার মা কিন্তু টেরই পাননি। তিনি ভেবেছিলেন, তার মেয়ে এখনো ঘুমাচ্ছে। পরে রাস্তায় হৈ চৈ শুনে জানালায় উঁকি দিয়ে বুঝতে পারেন, তার মেয়ে হয়তো নিচে পড়ে গেছে। সাথে সাথে দৌড়ে নিচে আসেন।
তার কন্যাটি যে বেঁচে আছে প্রথমে বুঝতে পারেননি তিনি। পরে মেয়েকে জীবিত দেখে তার খুশি আর ধরে না। দ্রুত হেলেনাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। শিশুটির দু’ এক জায়গায় কেটে যাওয়া ছাড়া পুরোপুরি সুস্থ ছিল। চিকিৎসকরা তাকে ফার্স্ট এইড দিয়েই ছেড়ে দেন।
ঘটনার দিন হেলেনার দাদি তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় অভিভূত বৃদ্ধা বলেন, এটি একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। এর আগে আমি এমন ঘটনা কখনো দেখিনি। আমার বিশ্বাস, ফেরেশতারাই আমার নাতনিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
শিশু হেলেনারা তিন ভাই-বোন। তার বড় দুই ভাইয়ের বয়স যথাক্রমে পাঁচ ও সাত বছর। সূত্র : ডেইলি মেইল
১৬ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম