আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিহারের সীমার। বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা সীমার দশ বছর আগে দুর্ঘটনায় একটা পা বাদ যায়। সীমার বাবা শ্রমিকের কাজ করেন, থাকেন অন্য রাজ্যে। সীমাকে নিয়ে পাঁচ ভাই বোনের সংসার।
এই অবস্থায় কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করা তাদের কাছে কোনও মতেই সম্ভব নয়। তাদের দরিদ্র পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা। কিন্তু, এতো কিছুর মধ্যেও পড়াশোনা বন্ধ করেনি সীমা।
তার স্বপ্ন সে শিক্ষিকা হবে। এর জন্য হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেই সীমা প্রতিদিন পৌঁছে যায় স্কুলে। এক পায়ে লাফিয়েই সে যাওয়া আসা করে স্কুলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে তার অদম্য লড়াইয়ের কাহিনী।
জানা গিয়েছে যে, ফতেপুর গ্রামের সরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সীমা। বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত রাস্তা প্রতিদিন এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই পাড়ি দেয় সে। ভবিষ্যতে দরিদ্র বাবা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা সীমার।
এবার তার লড়াইয়ে সামিল হলেন সোনু সুদ। পা না থাকলেও পড়াশোনা বন্ধ করেনি সীমা। তার বাবা মা শিক্ষার আলো না পেলেও তাঁরা চান, মেয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠুক। এর মধ্যেই তার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়ো দেখে সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছে সীমাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। এবার তার পাশে দাঁড়াল অভিনেতা সোনু সুদ। আর জনপ্রিয় অভিনেতা সোনু সুদ নিজেও শেয়ার করেন সেই ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, স্কুলের পোশাক পরে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলের পথে এগিয়ে চলেছে সীমা।
তার পিঠে ব্যাগ থাকলেও পায়ে কোনও জুতো নেই। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে সোনু লিখেছেন, ‘এবার একটা পায়ে না, দু পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যাবে সীমা। আমি টিকিট পাঠাচ্ছি। দু'পায়ে হাঁটার সময় এসে গিয়েছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা থাকলে, সবকিছুই করা সম্ভব। এক পা না থাকলেও ওই নাবালিকা হার স্বীকার করেনি। সে তার স্বপ্নকে সার্থক করতে করে চলেছে তীব্র লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো দেখে গোটা দুনিয়া কুর্নিশ জানাচ্ছে সীমাকে।