আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি দরিদ্র মানুষের কাছে সমান সম্পদের মালিক মাত্র ৬২ জন ধনী ব্যক্তি। আর বিশ্বের ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠীর হাতে যে সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ১ শতাংশ লোকের হাতে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রবিবার এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠককে সামনে রেখে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
‘১ শতাংশের জন্য একটি অর্থনীতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মাসে বিশ্বের ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে ব্যবধান ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১১ সালে বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি জনগোষ্ঠীর হাতে যে অর্থ ছিল মাত্র ৩৮৮ জন ধনীর হাতে সেই পরিমাণ সম্পদ ছিল। তবে পরের বছরই এই সংখ্যা নামতে শুরু করে। তখন বিপুল পরিমাণ সম্পদ চলে আসে ১৭৭ জন ব্যক্তির হাতে। ২০১৪ সালে এটি ৮০ এবং ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ৬২ তে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বের জনসংখ্যা ৪০ কোটি বৃদ্ধির পরও ৫০ শতাংশ অতি দরিদ্রগোষ্ঠীর সম্পদ ৪১ শতাংশ কমেছে। একই সময় ৬২ জন অতি ধনীর সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
অক্সফাম জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই প্রথম গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ ভাগ লোকের সম্পদ বাকি ৯৯ % লোকের সম্পদের চেয়ে বেশি হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, শীর্ষ ১০ ভাগ ধনীর নগদ অর্থ ও সম্পদের গড় পরিমাণ ৬৮,৮০০ ডলার বা প্রায় ৫৫ লাখ টাকার মত। ফলে ঢাকা শহরে যারা একটি ফ্ল্যাটের মালিক তারাও এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
বিবিসি জানিয়েছে, অন্যদিকে সবচেয়ে ধনী ১ ভাগ লোকের গড় সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা প্রায় ৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ এখন ৬ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক।
অক্সফাম গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ডরিং বলেন, এটা স্বাভাবিকভাবেই অগ্রহণযোগ্য যে একটি ক্ষুদ্র অতি ধনী গোষ্ঠীর হাতে যে সম্পদ রয়েছে, তা বিশ্বের মোট অর্ধেক দরিদ্র লোকের হাতে তা নেই। তাদের সংখ্যাটা এতোই ক্ষুদ্র যে তাদেরকে আপনি ট্রেনের একটি বগির ভেতরেই রাখতে পারবেন।
১৮ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস